আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের সামরিক আদালত গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ধৃত যে ভারতীয় নাগরিককে ফাঁসির আদেশ দিয়েছিল, তার ওপরে স্থগিতাদেশ জারি করেছে আন্তর্জাতিক আদালত।
দ্য হেগ-এর ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে সে ভারতীয় নাগরিক, কুলভূষণ যাদবের সঙ্গে কূটনীতিকদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি বলে ভারত আদালতের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল।
অন্য দেশে কোনো ব্যক্তি বন্দী হলে তার নিজের দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া এবং নিজের দেশের দূতাবাসের মাধ্যমে আইনি সহায়তা পাওয়াটা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী স্বীকৃত।
‘ভিয়েনা কনভেনশন’ এ স্বাক্ষরকারী প্রত্যেকটি দেশকে এই নিয়ম মেনে চলতে হয়।
ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘিত হচ্ছে কী-না, তার বিচার করে জাতিসংঘের বিচারিক শাখা ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস বা আইসিজে।
ভারত আইসিজে’র কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল, ইসলামাবাদে অবস্থিত ভারতীয় কূটনীতিকরা যাবদের সঙ্গে দেখা করার জন্য পাকিস্তান সরকারের কাছে অন্তত ১৫ বার আবেদন করা হয় যাতে তাকে আইনি সহায়তা দিতে পারেন। কিন্তু প্রতিবারই সেই আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়।
গ্রেপ্তার হওয়ার অনেক পরে ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেই খবর পাঠায় ইসলামাবাদ, সেটাও ভিয়েনা কনভেনশনের বিরোধী বলে অভিযোগ করা হয়েছিল আইসিজের কাছে।
ভারত সরকার আরো অভিযোগ করে, যাদব নৌবাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পরে ব্যবসার কাজে ইরানে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই আটক করা হয়। কিন্তু পাকিস্তান সরকার বলেছে যাদবকে সে দেশের বালুচিস্তান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আইসিজের জারী করা বিবৃতিটিতে বলা হয়েছে, ভারতের অভিযোগের বিচার শেষ না হওয়া অবধি পাকিস্তান যেন কুলভূষণ যাদবের ফাঁসি কার্যকর না করে।
গত এপ্রিল মাসে পাকিস্তানের একটি সামরিক আদালত অবসরপ্রাপ্ত নৌবাহিনীর অফিসার যাদবের ফাঁসির আদেশ দেয় গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে।
তারপরেই ভারত আন্তর্জাতিক আদালতে অভিযোগ জানিয়েছিল।
পাকিস্তানের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো আসে নি। তবে সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে অনেকে মন্তব্য করতে শুরু করেছেন।
সূত্র: বিবিসি