1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন

আপন জুয়েলার্সের ৫ বিক্রয় কেন্দ্রে শুল্ক গোয়েন্দাদের অভিযান

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৪ মে, ২০১৭
  • ১২২ বার

প্রতিবেদক : ‘অবৈধ সম্পদের’ খোঁজে আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি বিক্রয় কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে একটি শোরুম সিলগালা করে দিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান বলছেন, স্বর্ণ ও রত্ন সংগ্রহের তথ্যে অস্বচ্ছতা এবং মালিকের অবৈধ সম্পদের’ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে আপন জুয়েলার্সে এই অভিযান চালানো হচ্ছে।

আপন জুয়েলার্স যে সোনা ও ডায়মন্ড বিক্রি করে, তা সংগ্রহের সোর্স স্বচ্ছ নয়। এমন অভিযোগ আমলে নিয়েই এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।”

আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ বনানীতে দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের বাবা।এই পরিবারের বিরুদ্ধে সোনা চোরাচালানের অভিযোগ থাকায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশে একটি অনুসন্ধান কমিটি করে এই তদন্ত চালাচ্ছে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর।

এর অংশ হিসেবে রোববার বেলা ১১টার দিকে আপন জুয়েলার্সের মৌচাক, উত্তরা, জিগাতলার সীমান্ত স্কয়ার এবং গুলশানের দুটি বিক্রয় কেন্দ্রে একযোগে অভিযান শুরু হয়। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ শাখার ভ্যাট কর্মকর্তারা ছাড়াও র‌্যাব সদস্যরা যোগ দেন এই অভিযানে।

বেলা সোয়া ১২টার দিকে গুলশানের সুবাস্তু টাওয়ারের শোরুমটি বন্ধ করে দেওয়ার পর এ বিভাগের যুগ্ম কমিশনার শাফিউর রহমান বলেন, “আমরা এটা সিলগালা করেছি। এখন এটা খুলতে হলে তাদের প্রতিনিধি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। আমরা দেখব- সেখানে তাদের কী পরিমাণ মালামাল মজুদ আছে।”

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে মহাপরিচালক মইনুল খান বলেন, “শো রুমগুলোতে আমরা স্টক চেকিং করছি। দেশে তো স্বর্ণের আমদানি নেই। তারপরও তারা এগুলো কোথা থেকে কীভাবে এনেছে… বৈধ উপায়ে আনলে ভাল, না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেব।”

দিলদার আহমেদের নামে দেশে-বিদেশে যাবতীয় লেনদেনের হিসাব চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে গত বৃহস্পতিবার একটি চিঠিও পাঠিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।

দিলদারের বড় ছেলে সাফাত আহমেদের জন্মদিনের পার্টির কথা বলে গত ২৮ মার্চ ঢাকার বনানীর একটি বিলাসবহুল হোটেলে নিয়ে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয় বলে বনানী থানায় একটি মামলা হয় এক সপ্তাহ আগে। ওই মামলার অপর আসামিদের মধ্যে দুজন সাফাতের বন্ধু, বাকি দুজন তার দেহরক্ষী ও গাড়িচালক।

গত বৃহস্পতিবার সাফাত ও তার বন্ধু সাদমান সাকিফকে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করার পর পুলিশ তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ধর্ষণের শিকার এক ছাত্রী  বলেছেন, “ধর্ষণের পর সাফাত তাকে বলেছিলেন, তারা সোনা চোরাচালান করেন। দুই একটা খুন বা ধর্ষণ করে পুলিশকে টাকা দিলে তাদের কেউ কিছু করতে পারবে না।”

হোটেল রেইন ট্রিতে অভিযান, মদ উদ্ধার

দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় আলোচিত বনানীর হোটেল রেইন ট্রিতে অভিযান চালিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।
এখানে তল্লাশি চালিয়ে ১০ বোতল মদ উদ্ধার পর ঐ হোটেলের নামে তিনটি মামলা হচ্ছে। মামলা তিনটি হচ্ছে- মানি লন্ডারিং, কালোবাজারি এবং শুল্ক ফাাঁকি।

রবিবার দুপুরে হোটেলটিতে অভিযান পরিচালনার সময় বিদেশি মদের বোতল ১০টি উদ্ধার করা হয় বলে নিশ্চিত করেন শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালক (ডিজি) মইনুল খান।  শুল্ক গোয়েন্দারা জানান, ‘দ্য রেইনট্রি’ হোটেলে অভিযান চলছে। হোটেলের একটি কক্ষে ১০ বোতল মদ পাওয়া গেছে। হোটেলের প্রতিটি কক্ষে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

গত ২৮ মার্চ ‘দ্য রেইনট্রি’ হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে ৬ মে বনানী থানায় মামলা হয়েছে।

ধর্ষণের স্বীকারোক্তি

এদিকে পরিকল্পিতভাবেই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ওই দুই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে রিমান্ডের প্রথম দিনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছে সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফ। তদন্ত কমিটির সদস্য গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার শেখ নাজমুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, তারা এ কাজটি করবে তা আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন সাফাত ও তার বন্ধুরা। এজন্য বিভিন্ন সময় সুযোগ খুঁজছিলেন। এরপর সাফাত এর জন্মদিন উপলক্ষে তাদের দাওয়াত দেয়া হয় বনানীর দ্য রেইন ট্রি হোটেলে। তাদের সঙ্গে মাত্র ১৫ দিনের পরিচয়। আর এ পরিচয়ের সুযোগ কাজে লাগায় তারা। সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানকে মাথায় রেখে তারা এ চিন্তা করেন।

সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফ ঘটনার দুদিন আগে থেকে হোটেলের রুম বুকিং দেন তাদের আরেক বন্ধু নাইম আশরাফের সহায়তায়। ঘটনার দিন বিকেল থেকেই তারা মদ পান করে হোটেলে অবন্থান নেন। পরে কেক কাটার কথা বলে রুমে ঢুকিয়ে তাদের খাবারে  সঙ্গে জোর করে মদ পান করান। পরে এক পর্যায়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ এবং নানা ধরনের অত্যাচার করে বলে স্বীকার করেছে।

২৮ মার্চ বনানীর দ্য রেইন ট্রি হোটেলে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে দাওয়াত করে নিয়ে যান বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এ দুই তরুণীকে। সেখানে অস্ত্রের মুখে তাদের হোটেল কক্ষে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনার ৪০ দিন পর ৬ মে সন্ধ্যায় বনানী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। তারা হলেন- সাফাত আহমেদ, সাদনান সাকিফ, নাঈম আশরাফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও তার দেহরক্ষী (অজ্ঞাত)।

অভিযুক্তদের মধ্যে সাফাত ও সাদমান গত বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার হন। পরে শুক্রবার ঢাকার একটি আদালত সাফাতকে ছয় দিন ও সাকিফকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে দেন। তবে পুলিশের নাগালের বাইরে রয়েছেন মামলার দুই নম্বর অভিযুক্ত নাঈম, বিল্লাল ও দেহরক্ষী।

উল্লেখ্য, মামলার অন্য তিন আসামি এখনো পলাতক রয়েছে। পলাতক তিন আসামি হলেন ইমেকার্স ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্মের স্বত্বাধিকারী নাঈম আশরাফ, শাফাত আহমেদের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog