প্রতিবেদক: বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ভোটের স্বার্থে এখন সস্তাভাবে ধর্মকে অপব্যবহার করার চেষ্টা চলছে। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর একটি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শনিবার সুজন আয়োজিত জাতীয় প্রেসক্লাবে অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদের স্মরণসভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি তীব্র নিন্দা জানিয়ে স্মরণসভায় বলেন, ১৯৭১ সালে ধর্মের নামে গণহত্যা, ধর্ষণ ও লাখ লাখ মানুষকে পঙ্গু করা হয়েছিল। এই ধর্মকে রাজনীতি থেকে সরানোর জন্য সংবিধানে অসাম্প্রদায়িকতার কথা লেখা হয়েছিল। কিন্তু আজ ধর্মকে অপব্যবহার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সভা শেষে ধর্মের অপব্যবহার প্রসঙ্গে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আজ যারা ধর্মের দোহাই দেয়, তাদের মূল্যায়নের জন্য একাত্তরের কথা মনে রাখতে হবে। একাত্তরে ধর্মের দোহাই দিয়ে যারা গণহত্যা করেছে, তারা কী ধর্মের ছিল? তারা কি ইসলাম বিশ্বাস করত? সেগুলো মনে রাখতে হবে।’
সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে ভাস্কর্য সরানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, ‘এ নিয়ে এখন কিছু বলতে চাই না। আইনজীবীদের একটি সম্মেলন হবে। সেখানে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা নেওয়া হবে। তবে পেছনের যে চেষ্টা, আমি মনে করি, আমাদের দেশের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করা. . . কোনো বিষয় নিয়ে বিভক্তি সৃষ্টি করা উচিত নয়।’
লেখক ও গবেষক আবুল মকসুদের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরো বক্তব্য দেন অধ্যাপক রওনক জাহান, সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, প্রয়াত অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদের জামাতা মির্জা হাসান প্রমুখ।