প্রতিবেদক: বাজেটে গ্যাসের দাম বাড়ছে। অন্যদিকে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর প্রস্তাবনা জুন মাসে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেয়া হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গ্যাস, বিদ্যুতের সংকট এবং ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট কার্যকর হলে উদ্যোক্তারা সক্ষমতা হরাবে।
দীর্ঘদিন ধরেই গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটে ব্যাহত হচ্ছে স্থানীয় উৎপাদন। আবার দফায় দফায় দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষ অস্বস্তিতে পড়ছে। এবারের বাজেটেও সাধারণ মানুষের জন্য স্বস্তির সংবাদ থাকছে না । বরং অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামীতে গ্যাসের দাম বাড়ছে।
এ সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘গ্যাসের দাম বাড়বেই বাড়বে। স্বল্প টাকায় গ্যাস দেয়ার কোন সুযোগ নেই’।
এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও তার সুফল পাচ্ছে না দেশের মানুষ। এতে শিল্প উৎপাদনে যেমন ব্যয় বাড়ছে, তেমন মূল্যস্ফীতিতেও উস্কে দেয়া হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম কমানোর জন্য জুন মাসে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব দেয় হবে’।
গ্যাস ও জ্বালানি তেলের সংকটের পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের জন্য আতঙ্কের আরেক নাম ভ্যাট। ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট কার্যকর হলে ব্যাহত হবে দেশের শিল্প উৎপাদন।
এ সম্পর্কে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন বলেন, ‘গ্যাসের, বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। পোর্টে পণ্য খালাসের জন্য খরচ বাড়ছে। আবার অবকাঠামোর স্বল্পতার জন্যও খরচ বাড়ছে। এখন খরচ যদি বাড়তেই থাকে তাহলে উৎপাদিত পণ্যে যে দাম হবে তার থেকে অন্যান্য দেশের বৃহৎ উৎপাদনকৃত কোম্পনি তাদের পণ্যের দাম কমানো শুরু করলে দেশীয় শিল্প ক্ষতির মধ্যে পড়বে’।
করের হার আসছে বাজেটে নতুন করে বিন্যাস হচ্ছে। তবে করপোরেট ট্যাক্স না কমাতে অর্থমন্ত্রীর ঘোষণায় ব্যাবসায়িক সমাজে অস্বস্তি আরো বেড়েছে।