1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha :
মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ১২:২২ পূর্বাহ্ন

রোহিঙ্গারা জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন, ২০১৭
  • ১৭২ বার

প্রতিবেদক : কক্সবাজারে বসবসরত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “কক্সবাজারের মোট জনগোষ্ঠীর ২০ থেকে ২৫ ভাগই রাখাইন প্রদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠী। এই বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠী ভবিষ্যতে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।”

গত অক্টোবরে রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন অভিযানের পর আসা ৭৫ হাজারসহ পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে অবস্থান করছে।

কয়েক দশক ধরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ বিভিন্ন সময়ে আহ্বান জানালেও তাতে সাড়া দেয়নি মিয়ানমার। এই মুসলিম জনগোষ্ঠীকে নিজেদের নাগরিক বলেও অস্বীকারও করেছিল মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ।

মিয়ানমার থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা রোহিঙ্গা হিসেবে পরিচিত হলেও বাংলাদেশ সরকার তাদের রাখাইন প্রদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠী বলে আখ্যায়িত করে।

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে চাপ দেওয়ার পাশাপাশি ‘মানবিক কারণে’ তাদের নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপে সরানোর পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছিল সরকার। তখন বিভিন্ন মহলের আপত্তির পাশাপাশি সংসদেও এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা আসে।

এবার সংসদে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই জনগোষ্ঠীর কারণে বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ার কথা বলেন।

অবৈধ অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিকরা বাংলাদেশে সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও পরিবেশগত ব্যাপক ক্ষতিসাধন করছে মন্তব্য করে মাহমুদ আলী বলেন, মিয়ানমান নাগরিকদের দ্বারা বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।

“তারা বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাচ্ছে। তারা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সামাজিক ভারসাম্য, শ্রমবাজার ও কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে বর্তমানে নিবন্ধিত ৩৩ হাজার এবং সাড়ে ৩ থেকে ৪ লাখ অনিবন্ধিত মিয়ানমার নাগরিক বাংলাদেশের কক্সবাজারসহ পাঁচটি জেলায় অবস্থান করছে।

“গত বছরের অক্টোবরে মিয়ানমার সীমান্ত ফাঁড়িতে হামলা ও তারপর সামরিক অভিযানে রাখাইন রাজ্যের মুসলিম জনগোষ্ঠী ব্যাপক নির্যাতনের স্বীকার হয়। এতে প্রায় ৭৫ হাজার মিয়ানমার নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।”

তিনি বলেন, “রাখাইন জনগোষ্ঠী সীমান্তে মাধকদ্রব্য পাচার, অস্ত্র ও মানব পাচার, চোরাচালান, সীমান্ত মাদক উৎপাদনসহ বিভিন্ন অসামাজিক কাজে লিপ্ত রয়েছে। সীমান্ত এলাকায় অপরাধ চক্র তৈরি করে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা, জাতিগত নিরাপত্তা, জাতিগত পরিচয় ও আর্থ-সামাজিক স্থিতিশীলতার মারাত্মক ব্যত্যয় ঘটছে।

“সর্বোপরি অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিকগণ বাংলাদেশে সামজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও পরিবেশগত ব্যাপক ক্ষতিসাধন করছে।”

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 Mohajog