1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৯ অপরাহ্ন

বুধবার অর্থ বিল ও বৃহস্পতিবার বাজেট পাস হবে

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৮ জুন, ২০১৭
  • ৯১ বার

প্রতিবেদক : অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবিত চার লাখ কোটি টাকার বাজেটের অর্থ বিল বুধবার জাতীয় সংসদে পাস হবে, যেখানে সবার আগ্রহ থাকবে ব্যাংক হিসাবের ওপর আবগারি শুল্ক এবং ভ্যাট হারে পরিবর্তনের ঘোষণা নিয়ে। উন্নয়নের ‘মহাসড়কে’ বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন সামনে রেখে গত ১ জুন চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ের ফর্দ জাতীয় সংসদের সামনে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।২০১৭-১৮ অর্থবছরের এই বাজেট প্রস্তাবের ওপর প্রায় এক মাস আলোচনা শেষে বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) তা পাস হবে। তার আগে বুধবার পাস হবে অর্থবিল।

ঈদের অবকাশ শেষে বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় সংসদ বসার পর বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও পরে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাজেটের ওপর বক্তৃতা দেবেন।

রেওয়াজ হল, বাজেটের রাজস্ব অংশের আলোচিত-সমালোচিত প্রস্তাবগুলোর মধ্যে কিছু বিষয়ে পরিবর্তন প্রয়োজন হলে প্রধানমন্ত্রী তা সংশোধন করতে অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন। পরে অর্থমন্ত্রী তা সংশোধন করে নিলে অর্থ বিল সংসদে পাস হয়।

টানা নয়টি বাজেট পেশের রেকর্ডধারী মুহিত বলে আসছেন, এবারের বাজটই তার দেওয়া সর্বশ্রেষ্ঠ বাজেট। কিন্তু সেই বাজেটের কিছু প্রস্তাব নিয়ে ঘরে-বাইরে ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে ৮৪ বছর বয়সী অর্থমন্ত্রীকে।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হয়েছে ব্যাংক আমানতের ওপর বাড়তি আবগারী শুল্ক আরোপ এবং ভ্যাট আইন এবারই কার্যকর করার প্রস্তাব নিয়ে।

নতুন অর্থবছরে বাজেটের খরচ মেটাতে দুই লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা জনগণের কাছ থেকে কর ও শুল্ক হিসেবে আদায়ের পরিকল্পনা করেছেন অর্থমন্ত্রী। এর মধ্যে ৯১ হাজার ২৫৪ কোটি টাকা আসবে মূল্য সংযোজন কর থেকে।

এছাড়া আয়কর ও মুনাফার উপর কর থেকে ৮৫ হাজার ১৭৬ কোটি টাকা, আমদানি শুল্ক থেকে ৩০ হাজার ২৩ কোটি টাকা, সম্পূরক শুল্ক থেকে ৩৮ হাজার ৪০১ কোটি টাকা, রপ্তানি শুল্ক থেকে ৪৪ কোটি টাকা, আবগারি শুল্ক থেকে ১ হাজার ৫৯৯ কোটি টাকা এবং অন্যান্য কর ও শুল্ক থেকে ১ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করেছেন তিনি।

ব্যবসায়ীদের আপত্তির মুখেও আসছে ১ জুলাই থেকে সবক্ষেত্রে অভিন্ন ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আদায়ের প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে।

সেই সঙ্গে বছরের যেকোনো সময় ব্যাংক হিসাবে এক লাখ টাকার বেশি স্থিতি থাকলে আবগারি শুল্ক বিদ্যমান ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০০ টাকা করার কথা বলা হয়েছে।

ব্যাংকে ১০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত স্থিতির ক্ষেত্রে ১ হাজার ৫০০ টাকার বদলে ২ হাজার ৫০০ টাকা, ১ কোটি থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত স্থিতির ক্ষেত্রে ৭ হাজার ৫০০ টাকার বদলে ১২ হাজার টাকা এবং ৫ কোটি টাকার বেশি স্থিতিতে ১৫ হাজার টাকার বদলে ২৫ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক আদায়ের কথা বলা হয়েছে মুহিতের প্রস্তাবে।

বাজেট ঘোষণার পরদিন ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে মুহিত বলেন, ব্যাংকে যাদের এক লাখ টাকা রাখার সামর্থ্য আছে তারা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ‘সম্পদশালী বলেই’ বাজেটে তাদের উপর বাড়তি কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

আর ১৫ শতাংশ ভ্যাটে বাজারে পণ্যের দাম বাড়বে না দাবি করে তিনি বলেন, ছোট ব্যবসায়ীদের কথা বিবেচনা করে ভ্যাট অব্যাহতির সীমা ৩০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৬ লাখ টাকা করা হয়েছে। টার্নওভার করের সীমা ৮০ লাখ টাকা থেকে দেড় কোটি টাকা করা হয়েছে।

কিন্তু এরপর এক মাসে সংসদে বাজেটের ওপর আলোচনায় সরকারি ও বিরোধী দল- দুপক্ষেরই সমালোচনা সইতে হয় মুহিতকে। বিরোধী দল থেকে তার পদত্যাগের দাবিও ওঠে।

এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘বাজেট পেশ করা হয়েছে; পার্লামেন্টে আলোচনা হবে। হয়ত কারও কিছু সমস্যা থাকতে পারে। নিশ্চয় তা আমরা দেখব, সমাধান করব।’

পরে ১৮ জুন অর্থমন্ত্রী মুহিত নিজেই জানান, ব্যাংক হিসাবে বাড়তি আবগারি শুল্ক আরোপের যে প্রস্তাব তিনি করেছিলেন, তার হারে কিছু পরিবর্তন আনা হবে।

‘কথাটি পার্লামেন্টে বলতে আমার অনেক দেরি হবে। পার্লামেন্টে বলতে ২৮ তারিখ পর্যন্ত চলে যাবে। তার আগেই যাতে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস অনেকে ফেলতে পারে, সেজন্য কথাটা বললাম।’

সমালোচনার কথা বিবেচনা করে এবং নির্বাচনের আগে ভোটের হিসাব মাথায় রেখে নতুন ভ্যাট আইনের কার্যকারিতাও পিছিয়ে যেতে পারে বলে এরই মধ্যে খবর দেয় কয়েকটি পত্রিকা। পরে সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদের বক্তব্যেও একই আভাস পাওয়া যায়।

গত ২১ জুন সংসদে বাজেটের ওপর আলোচনায় তিনি বলেন, ‘বাজেট সকলের। অর্থমন্ত্রী মুখপাত্র। আপনারা আলোচনা করবেন প্রস্তাব নিয়ে। ভ্যাট নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছে… আশা করছি এমনভাবে করা হবে যে সব নিরসন হবে। এই সরকার ব্যবসাবান্ধব। ব্যবসায়ীরা খুশি হবে… আমার বলা ঠিক না। প্রধানমন্ত্রী বলবেন।’

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog