প্রতিবেদক: ঈদের ছুটিতে ঢাকার দোহারে পদ্মার নদীর মৈনটঘাটে গোসলে নেমে নিখোঁজ আরো দুই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে নিখোঁজ তিনজন ছাত্রের লাশ উদ্ধার হলো। লাশগুলো ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে নিখোঁজের তৃতীয় দিনে মাওয়া এলাকায় দুইজনের লাশ জড়াজড়ি অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁরা হলেন সুপ্রিয় ঢালী (১৯) ও সালমান বিন জামাল (১৯)।
এর আগে গতকাল মাহিন নামে আরো এক ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁর সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন ঢাকার মিরপুরের নাসির ঢালীর ছেলে মিরপুর কমার্স কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সুপ্রিয় ঢালী এবং মিরপুরের বড়বাগ এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে মনিপুর কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সালমান বিন জামাল।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের স্টেশন অফিসার মো. শাহরিয়ার রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আজ দুপুর ১টার দিকে উদ্ধারকারী দল টহলের সময় দুজনের লাশ উদ্ধার করে। একজন আরেকজনকে ধরে রেখেছিলেন। লাশগুলো ঘাটে নিয়ে আসার পর তাদের স্বজনরা নিশ্চিত করেন।
এর আগে ঈদের পরের দিন বেড়াতে গিয়ে গত ২৭ জুন মৈনটঘাটে গোসলে নেমে নিখোঁজ হন তিন শিক্ষার্থী। এর পরের দিন তিন শিক্ষার্থীর মধ্যে একজনের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। এরপর ডুবুরিরা উদ্ধারকাজ চালিয়ে যেতে থাকে। ঘটনার তিনদিনের মাথায় আজ আরো দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
দোহার থানার চর মোহাম্মদপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আরব আলী জানান, বুধবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে নদীতে মহিম (২০) নামে এক যুবকের লাশ পাওয়া যায়। মহিম ঢাকার মোহাম্মদপুরের শাহ আলমের ছেলে। ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি।
ঈদের পরদিন মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা থেকে পাঁচজন দোহারে বেড়াতে যান। মৈনটঘাট থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে ঝাঁওকান্দি এলাকায় তাঁরা নদীতে গোসল করতে নামেন। একপর্যায়ে তীব্র স্রোতে তিনজন তলিয়ে যান।
গতবছরও ঈদের ছুটিতে মৈনটঘাটে বেড়াতে এসে পদ্মায় ডুবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্রসহ আরো কয়েকজনের মৃত্যু হয়।