ডেস্ক রিপোর্ট : প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে শাস্তির পর প্রবেশনের বিধি লংঘন করে পালিয়ে যাওয়ার দায়ে খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা জাহিদ এফ সরদার সাদীকে চার মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত।
ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ওরল্যান্ডোতে মিডল ডিস্ট্রিক্ট ফেডারেল কোর্টের বিচারক গ্রেগরি এ প্রেসনেল মঙ্গলবার এই রায় দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্যদের সই জাল করে তারেক রহমানের নামে বিবৃতি প্রচারকারী জাহিদ এফ সরদার সাদী এর আগেও বহুবার গ্রেপ্তার হয়েছেন।
চেক জালিয়াতি, ব্যাংকের সঙ্গে প্রতারণা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঠকবাজির দায়ে ২০০৯ সালে একই আদালতে সাদীকে ৪০ মাসের কারাদণ্ড দেয়। পরে কর্তৃপক্ষের নজরদারিতে থাকার (প্রবেশনে) শর্তে ছাড়া পান সাদী।
তার শর্তের মধ্যে অন্যতম ছিল প্রতি মাসের ৫ তারিখের মধ্যে নিকটস্থ প্রবেশন অফিসারের সঙ্গে দেখা করে নিশ্চিত করতে হবে যে তিনি আর কোনো অপকর্মে লিপ্ত হননি অথবা ওরল্যান্ডে সিটি ত্যাগ করেননি।
কিন্তু ওই শর্ত তিনি শুরু থেকেই লঙ্ঘন করে চলছিলেন। তিনি নিউ ইয়র্কে পালিয়ে গেছেন জানার পর নিউ ইয়র্ক সিটির ফেডারেল কোর্টের প্রবেশন অফিসার মাইকেল কক্সের কাছে চিঠিও পাঠান ওরল্যান্ডোর প্রবেশন অফিসার।
এরপরও সাদী অরল্যান্ডোতে গিয়ে হাজিরা না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি হয় এবং গত ১৭ মে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে সাদীকে গ্রেপ্তার করে এফবিআই।
৯ জুন তাকে ফ্লোরিডার আদালতে হাজির করা হলে বিচারক ২৭ জুন মামলার দিন রেখে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সাদীকে আদালতে হাজির করা হলে প্রবেশনের শর্ত ভঙ্গের দায়ে তাকে নতুন করে সাজার আদেশ দেন বিচারক।
সাদী এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। তবে ২০০৯ সালের রায়ে তাকে যে ২ লাখ ৩৪ হাজার ২২৯ ডলার ৭৫ সেন্ট জরিমানা করা হয়েছিল, সেই অর্থ তাকে পরিশোধ করতে হবে।
বরিশালের সাদী ইতোপূর্বে নানা ধরনের প্রতারণা, জালিয়াতির মামলায় ২৭ বার গ্রেপ্তার হন যুক্তরাষ্ট্রে। প্রতিবারই ছোটখাটো শাস্তি হয় তার।
২০১৫ সালের জানুয়ারিতে ছয় কংগ্রেস সদস্যের স্বাক্ষর জাল করে তারেক রহমানের পক্ষে একটি বিবৃতি প্রচার করেছিলেন সাদী। তা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ওঠে। প্রবাসী বিএনপি নেতারাও তা নিয়ে বিব্রত হওয়ার কথা স্বীকার করে তাকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা জানান।
সুত্র: বিডি নিউজ