1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:১২ পূর্বাহ্ন

এবার প্যারাডাইজ পেপারস কেলেঙ্কারি ফাঁস!

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৭
  • ১৫০ বার

এবার ফাঁস হলো আরেকটি আর্থিক কেলেঙ্কারির তথ্য। এতে নাম রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের। পানামা পেপারসের পর এটাকে বলা হচ্ছে ‘প্যারাডাইজ পেপারস’।

এক বছর আগে পানামা পেপারস কেলেঙ্কারি ফাঁস করে বিশ্বজুড়ে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিল জার্মান দৈনিক জিতডয়েচ সাইতং। এবারও তারাই বিশ্বের খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ, তারকা, করপোরেট অঙ্গনের ক্ষমতাধর ও ব্যবসায়ী নেতাদের আর্থিক লেনদেন ফাঁস করেছে প্যারাডাইজ পেপারস কেলেঙ্কারিতে।

গত বছর ফাঁস হওয়া পানামা পেপার্সের মতো এবারো এসব নথি প্রথমে জার্মান দৈনিক সুইডয়চে সাইটংয়ের হাতে আসে। সেসব নথি ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টসকে (আইসিআইজে) দিয়েছে তারা।

আইসিআইজে- এর কাছ থেকে সেসব নথি পেয়েছে বিবিসি, গার্ডিয়ানসহ বিভিন্ন দেশের ১০০টি সংবাদমাধ্যম।এখন চলছে এসব নথির বিশ্লেষণ।

বারমুডার আইনি সহযোগী সংগঠন অ্যাপলবাই-এর কাছ থেকে প্রায় ১ কোটি ৩৪ লাখ গোপন নথি পেয়েছে জিতডয়েচ সাইতং। এরপর এগুলো ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টসের (আইসিআইজে) সঙ্গে ভাগাভাগি করেছে জার্মান সংবাদমাধ্যমটি।

প্যারাডাউজ পেপারস কেলেঙ্কারির গোপন নথিগুলো এখন খতিয়ে দেখছে ৬৭টি দেশের ১০০টি মিডিয়া গ্রুপ। এর মধ্যে আছে গার্ডিয়ান, বিবিসির মতো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।

পানামা পেপারস ও প্যারাডাইজ পেপারসে মূলত ফাঁস হয়েছে কর থেকে বাঁচার জন্য অন্যান্য দেশে বিনিয়োগ করা ব্যক্তিদের আর্থিক কেলেঙ্কারি। কর দিতে হয় না কিংবা খুবই নিম্নহারে কর দেওয়া যায় এমন দেশে বিনিয়োগ করে আর্থিকভাবে লাভবান হতে চান তারা।

যেমন গোপন নথিতে দেখা গেছে, কেম্যান আইল্যান্ড ও বারমুডায় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের নামে প্রায় ১ কোটি পাউন্ড গোপন অর্থের হিসাব পাওয়া গেছে। ব্রাইট হাউস নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানেও তার বিনিয়োগের তথ্য রয়েছে।

এদিকে বিভিন্ন নথিতে দেখা গেছে, রুশ সংস্থাকে তেল ও গ্যাস শিপিং করে এমন একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবার রস। ওই প্রতিষ্ঠানের অংশীদার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জামাতাসহ যুক্তরাষ্ট্রের চোখে অপরাধী দুই ব্যক্তি। এই রসই নব্বই দশকে ট্রাম্পকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছিলেন। শুধু রস নন, ট্রাম্প প্রশাসনের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা গ্যারি কন,পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন ও অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানচিনও অন্য দেশে বিনিয়োগের সঙ্গে জড়িত বলে জানা যায় গোপন নথিতে।

গোপন নথিতে দেখা যাচ্ছে, কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নির্বাচনে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা স্টেফান ব্রনফম্যান ও তার প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬ কোটি ডলার বিনিয়োগ রয়েছে কেম্যান আইল্যান্ডে।

রুশ সরকার নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান ফেসবুক ও টুইটারে বিনিয়োগ করেছে বলেও প্যারাডাইজ পেপারসে বেরিয়ে এসেছে। আর্সেনালের অংশীদারিত্ব থাকা সত্ত্বেও রুশ-উজবেক ধনকুবের আলিশার উসমানোভ এভারটন ফুটবল ক্লাবের শেয়ার কিনে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের নিয়ম ভেঙেছেন বলে প্রশ্ন উঠেছে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog