ঢাকাই চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা দম্পতি তারা। দু’জনেই এই ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয়তার শীর্ষস্থান দখল করেছেন। একসঙ্গে কাজের সুবাদে ভালোবেসে বিয়ে করেন ২০০৮ সালে। তবে ক্যারিয়ারের দিক বিবেচনা করে তারা বিষয়টি গোপন রাখেন। চলতি বছরের শুরুর দিকে হঠাত টেলিভিশন লাইভে এসে অপু বিশ্বাস প্রকাশ করেন তাদের বিয়ের কথা। সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন শাকিব-অপুর একমাত্র সন্তান আব্রাম খান জয়ের সঙ্গে।
এই প্রকাশ্যে আসার ঘটনাতেই শাকিব-অপুর সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি করে। জানা যায়, শাকিবের সঙ্গে কোনো রকম আলোচনা না করেই অপু তাদের সন্তানকে নিয়ে প্রকাশ্যে আসেন। এরপর বিভিন্ন সাক্ষাৎকারেও অপু শাকিবকে জড়িয়ে বিভিন্ন কথা বলেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেটা বাড়াবাড়ি পর্যায়েও চলে গেছে বলে শোনা যায়। এসব ব্যাপারে বেজায় নাখোশ শাকিব। এর ফলে একমাত্র সন্তান জয়ের জন্মদিনেও তারা একসাথ হননি।
বিয়ে করলেও সুন্দরভাবে সংসার করা হয়নি শাকিব-অপুর। কারণ দু’জনেই ছিলেন কর্মব্যস্ত। অবশেষে তাদের বিয়ের কথা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে তো দূরত্ব কেবল বেড়েই চলেছে। আর সেই দূরত্বের মাত্রা এবার গড়াচ্ছে বিচ্ছেদে! হ্যাঁ, সুপারস্টার শাকিব খান ও চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের দীর্ঘ ৯ বছরের সংসারের ইতি ঘটতে চলেছে।
শাকিব কিংবা অপু অবশ্য এই ব্যাপারে এখনো স্পষ্ট কিছু জানাননি। তবে তাদের একাধিক সূত্রে বিষয়টি এখন ইন্ডাস্ট্রিতে রটে গেছে। অনেকটা ওপেন সিক্রেটের মতো। শাকিব বর্তমানে থাইল্যান্ডে রয়েছেন ‘মাস্ক’ ছবির শুটিংয়ে। সেখান থেকে ফিরবেন দিন দশেক পর। আর ফিরেই নাকি আনুষ্ঠানিকভাবে সারবেন বিচ্ছেদকর্ম। এমনকি বিচ্ছেদের পর অপুর পাওনা মিটিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতিও প্রায় নিয়ে নিয়েছেন বলে সূত্র জানায়।
রটে যাওয়া এই খবর যদি বাস্তব রূপ পায়, তবে শোবিজ থেকে হারিয়ে যাবে আরও একটি আলোচিত সংসার। আর আব্রাম খান জয় নামের ফুটফুটে এক সন্তান হারাবে তার বাবা-মায়ের সম্মিলিত ভালোবাসা। এদিকে শাকিব-অপুর বিচ্ছেদের খবর ছড়িয়ে পড়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ অতি আহ্লাদি হয়ে খুশি হলেও সন্তানের ভবিষ্যতের কথা উল্লেখ করে অনেকেই দুঃখ প্রকাশ করছেন। এখন অপেক্ষার পালা, শাকিব দেশে ফেরার পর জানা যাবে ঘটনার আদ্যোপান্ত।