জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট মুগাবের পদত্যাগের মধ্যে দিয়ে ৩৭ বছরের শাসনের অবসান হলো। দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার জ্যাকব মুডেন্ডা পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এক চিঠিতে মুগাবে বলেছেন, তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন, এবং ক্ষমতার হস্তান্তর যাতে ঝামেলামুক্ত হয় সে জন্যই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। খবর বিবিসির।
এই ঘোষণা এমন এক সময় আসে যখন পার্লামেন্টে এমপিরা তাকে অভিশংসনের একটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছিলেন।
তবে মুগাবে পদত্যাগ করেছেন এ খবর আসার পর সে প্রক্রিয়া থেমে যায়। পার্লামেন্ট সদস্যরা উল্লাসে চিৎকার করতে থাকেন। শহরের রাস্তাগুলোতেও জনতা নেমে এসে উল্লাস করছে।
পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন তা এখনো বলা হয় নি তবে ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন মাসাঙ্গাগওয়ার নামই বলা হচ্ছে সবার আগে। তিনি এখন দক্ষিণ আফ্রিকায় আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে অজ্ঞাত স্থান থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত বলে জানিয়েছিলেন।
গত সপ্তাহে সামরিক বাহিনী রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করার পর থেকে রবার্ট মুগাবে গৃহবন্দী অবস্থায় ছিলেন। সেখান থেকেই দেয়া এক টিভি ভাষণে তিনি পদত্যাগ করতে অস্বীকার করেছিলেন। জিম্বাবুয়ে ১৯৮০ সালে স্বাধীন হবার পর থেকেই মুগাবে ক্ষমতায় ছিলেন।
তবে সম্প্রতি ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন মানাঙ্গাগওয়াকে বরখান্ত করার পরই রবার্ট মুগাবের বিরুদ্ধে তার জানু-পিএফ পার্টি ও সামরিক বাহিনীতে ক্ষোভ তৈরি হয়।
তিরানব্বই বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের পর জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত হবার জন্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন তার স্ত্রী গ্রেস মুগাবে এবং মানাঙ্গাগওয়া।
এরই ধারাবাহিকতায় এক পর্যায়ে নিজের স্ত্রীর পক্ষ নেন মুগাবে এবং মানাঙ্গাগওয়াকে চাকরিচ্যুত করেন।
আর এই ঘটনার পরই গত সপ্তাহে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী। মুগাবের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু হবে আজ
জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের বিরুদ্ধে আজই অভিশংসনের প্রস্তাব আনতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন জানু-পিএফ পার্টি।