1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:২৫ অপরাহ্ন

বিট কয়েন: বড় রকমের দরপতন

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৭
  • ৩৬১ বার

ডিজিটাল মুদ্রা বিটকয়েনের মূল্য এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ কমে গেছে।

শুক্রবার এই মুদ্রাটির দাম ছিলো ১১,০০০ ডলারের সামান্য কম। কিন্তু গত সপ্তাহের শুরুতে এর মূল্য ছিলো ২০,০০০ এর কাছাকাছি। খবর বিবিসির

গত সোমবার বিটকয়েনের মূল্য রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছায়।

তারপর থেকে এই মুদ্রাটির দাম ৪০ শতাংশ।

এবছরের শুরুর দিকে এই মুদ্রাটির দাম ছিলো এক হাজার ডলারের মতো।

তারপর থেকে এর মূল্য হু হু করে বাড়তে থাকে। বিশেষ করে গত নভেম্বর থেকে গত সপ্তাহ পর্যন্ত এর দাম বাড়ছিলো রকেটের গতিতে।

বিশ্লেষকরা সম্প্রতি এই মুদ্রায় বিনিয়োগের ব্যাপারে লোকজনকে সতর্ক করে দিচ্ছিলেন। এর মধ্যেই গত কয়েক দিন ধরে এর দাম পড়তে শুরু করেছে। এবং এখনও সেই পতন অব্যাহত রয়েছে।

ক্রিপ্টোকারেন্সি সংক্রান্ত ওয়েবসাইট ক্রিপ্টোকমপেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা চার্লস হাটার বলেছেন, ‘এরকমের নজিরবিহীন উত্থানের পর এখন কিছুটা কমবে কারণ আবেগের পরিবর্তন ঘটেছে।’

তিনি বলেন, চড়া দাম হওয়ার কারণে বাজারে প্রচুর লোকজন বিটকয়েন বিক্রি করে দিয়ে অর্থ তুলে নিচ্ছে। ফলে এখন তার দাম পড়ছে।

শুক্রবার বাজার খুব উঠানামা করেছে।

এই পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বেই অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানগুলো বিটকয়েনের পেছনে বিনিয়োগের ব্যাপারে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে।

এই মুদ্রাটির উৎস সম্পর্কে খুব কমই বোঝা যায় এবং ব্যবহারও খুব সীমিত।

ডেনমার্কের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক এই বিটকয়েনকে ভয়াবহ এক জুয়া বলেও সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছে।

গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের প্রধানও বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন ‘সব অর্থ হারানোর জন্যে’ প্রস্তুত থাকতে।

এন্ড্রু বেইলি বলেন, কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিংবা কোন সরকারই এই মুদ্রাকে সমর্থন করছে না। ফলে এই বিটকয়েনের পেছনে বিনিয়োগ মোটেই নিরাপদ নয়।

বিটকয়েনে লেনদেন কতটা নিরাপদ?
সম্প্রতি বিটকয়েন মুদ্রাটি আলোচনায় আসার কারণ মুদ্রাটির মূল্য হু হু করে রেকর্ড পরিমাণে বেড়ে গেছে। ফলে অনেকেই এই বিটকয়েন কেনার দিকে ঝুঁকছে। তবে এ ব্যাপারে সতর্ক করে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের অনেকে।

বিটকয়েন আসলে কি ধরনের কয়েন?
অনেকসময় শোনা যায় আন্তর্জাতিক হ্যাকাররা বিভিন্ন কম্পিউটার হ্যাক করে মুক্তিপণ দাবি করছে আর সে মুক্তিপণ পরিশোধ করতে বলা হয় বিটকয়েনে। খবর বিবিসির

বিটকয়েন একধরনের ক্রিপ্টো-কারেন্সি বা ভারচুয়াল মুদ্রা। মুদ্রাটির দাম ওঠা-নামার মধ্যেই রয়েছে। মঙ্গলবার ছিল প্রায় ১৯ হাজার ডলার যেখানে আজ সকালে দাম পড়ে গিয়ে হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার।

যদিও বাস্তবে এর অস্তিত্ব নেই। ইন্টারনেট সিস্টেমের মাধ্যমে প্রোগ্রামিং করা আছে যেটি চাইলে কেনা যায়।

বাংলাদেশের একজন অর্থনীতিবিদ এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘এটি ইন্টারনেট সিস্টেমে একটা নির্দিষ্ট অংকে প্রোগামিং করা আছে যা চাইলে কেনা যায়। প্রতিবছর এটি অল্প অল্প করে বাড়ানো হয়ে থাকে। ১০/১৫ বছর পর্যন্ত হয়তো বাড়বে তারপর আর বাড়বে না’।

এই কয়েন কেনা-বেচা কিভাবে হয়?
অর্থনীতিবিদ মনসুর বলেন, ‘এটা এমন একটি কয়েন যেটি কোনও কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা কোনও দেশের জারি করা নয়। ইন্টারনেট সিস্টেমকে ব্যবহার করে কিছু ব্যক্তি এই সিস্টেমকে ডেভেলপ করেছে। এটাকে বলা যেতে পারে একধরনের জুয়াখেলা। যেটার ভিত্তিতে হয়তো আমার টাকা খাটিয়ে লাভজনক কিছু করে ফেলতে পারি। যার জন্য বেশিরভাগ লোক এটার পিছনে এখন ছুটছে’।

এই মুদ্রার মনিটরিং কিভাবে হয়?
‘এটার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হচ্ছে যে এর কোনও কর্তৃপক্ষ নেই, এর সাথে কোনও কেন্দ্রীয় ব্যাংক নেই যাদের কাছে বলা যাবে এটার বিনিময়ে আমি কিছু পেতে পারি’ বলেন অর্থনীতিবিদ মনসুর।

তিনি বলেন, কারো কাছে যদি বিটকয়েন থাকে যা সে পাঁচশো ডলার দিয়ে কিনেছে এবং সেটা যদি সে ১৯ হাজার ডলারে বিক্রি করতে চায় কেবলমাত্র সেই দামেই সেটি কিনতে হবে।

মুদ্রা দিয়ে যেভাবে পণ্য বা সেবা কেনা যায়, বিটকয়েন দিয়ে কি সেসব কেনা যায়?
অর্থনীতিবিদ মনসুর বলেন, ‘কেনা যাবে। কোনও ব্যক্তির কাছে এধরনের পণ্য বা সেবা প্রদানের ব্যবস্থা থাকলে সে চাইলে বিটকয়েনর বিনিময়ে সেটি বিক্রি করতে পারবে। অনলাইনে যেভাবে আমরা ই-পেমেন্ট সিস্টেমে কেনাকাটা করছি সেভাবে বিটকয়েনের মাধ্যমে অনলাইনে কেনা-কাট করা সম্ভব’।

বিটকয়েনে লেনদেন কতটা নিরাপদ?
সম্প্রতি দাম বেড়ে যাবার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগে এর দাম ছিল এক হাজার ডলার। তারও আগে ছিল একশো ডলার। একবছরের মধ্যে একশো থেকে এক হাজার ডলারে দাম উঠে যায়। এরপর কয়েক মাসের মধ্যে এর দাম উঠে গেছে ১৯ হাজার ডলারে। এটা র‌্যাশনাল বিহেভিয়ার নয়’।

তিনি জানান, এখন এখানে অনেকেই এর পেছনে বিনিয়োগ করছে আরও বেশি টাকার জন্য। এরকম ক্ষেত্রে হঠাৎ করে এইসব লোকেরা বাজার থেকে সরে গেলে বিপদে পড়বেন অনেকেই।

এই অর্থনীতিবিদ সতর্ক করে বলেন, ‘এটাই আমাদের আশঙ্কা। যেহেতু এখানে কোনও কর্তৃপক্ষ নেই, টাকাটা আরও বেশি পরিমাণে সরবরাহের কোনও সুযোগ নেই। সুতরাং এটা যখন কলাপস করবে বা উপরের দিকে যাবে এটা নিয়ন্ত্রণ করার কোনও মেকানিজম নেই’।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, বিটকয়েনে বিনিয়োগ না করতে। এটা কোনও অনুমোদিত কারেন্সি না। এটাতে বিনিয়োগ করা ঠিক হবে না।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog