চার শর্তে আমরণ অনশন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকেরা।
সোমবার বিকেলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের মিন্টো রোডের বাসভবনে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পরই এ সিদ্ধান্ত নেন তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রাথমিকের শিক্ষক প্রতিনিধি দলের সদস্য তপন কুমার মণ্ডল।
বেতন স্কেলে বৈষম্য দূর করার দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গত তিন দিন ধরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের আমরণ অনশন করছিলেন।
রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গত শনিবার সকাল ১০টা থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। সহকারী শিক্ষকদের ৮টি সংগঠন এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে। সংগঠনের নেতারা ঘোষণা দিয়েছিলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা অনশন চালিয়ে যাবেন।
শিক্ষক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, না খেয়ে দাবি আদায় করা সম্ভব না। দাবি-দাওয়া পূরণ করতে হলে আলাপ-আলোচনা করতে হয়। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দাবি আদায় করা যায়।
সন্ধ্যায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মোহাম্মদ আসিফ-উজ-জামান, প্রাথমিক অধিদফতরের মহাপরিচালকের উপস্থিততে আন্দোলনরত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা শরবত খেয়ে অনশন ভাঙবেন।
মহাজোটের অধীনে সহকারী শিক্ষকদের ১০টি সংগঠনের হাজার হাজার শিক্ষকরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে যোগ দিয়েছেন অনশন কর্মসূচিতে।
তাদের দাবি, আগের বেতন স্কেলগুলোতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা বেতন পেতেন। কিন্তু ২০১৫ সালের বেতন কাঠামোতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের ব্যবধান তিন ধাপ। এখন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা ১৪তম গ্রেডে (মূল বেতন ১০ হাজার ২০০) বেতন পাচ্ছেন। আর প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন ১০তম গ্রেডে (মূল বেতন ১৬ হাজার টাকা)। সহকারী শিক্ষকরা এ বৈষম্য নিরসনে প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে ১১তম গ্রেডে (১২ হাজার ৫০০) বেতন চান।