1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha :
রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ০২:৫২ অপরাহ্ন

‘আরও বড় ও শক্তিশালী পরমাণু অস্ত্রের বোতাম আমার কাছেও আছে’

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৮
  • ১৪৬ বার

পারমাণবিক অস্ত্র চালু বোতাম সবসময় টেবিলেই থাকে বলে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন নতুন বছরে যে হুমকি দিয়েছিলেন তার জবাবে পাল্টা হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প।

বুধবার টুইটারে ট্রাম্প লিখেছেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বলেছেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্র চালুর বোতাম সবসময় তার টেবিলেই থাকে’। তার দেওলিয়া ও ক্ষুধার্ত সরকারের কেউ তাকে দয়া করে জানিয়ে দিও, পারমাণবিক অস্ত্রের বোতাম আমার কাছেও আছে। কিন্তু সেটি অনেক বিশাল এবং অনেক বেশি শক্তিশালী। আমার বোতাম কাজও করে।

২০১৭ সালের বিশ্ব রাজনীতি সরগরম ছিল কিম ও ট্রাম্পের হুমকি-পাল্টা হুমকিতেই। নতুন বছরেও তার ব্যত্যয় হলো না। দেখা যাক এবার কিম কী বলেন!

পারমাণবিক বোমার বোতাম আমার টেবিলে থাকে: কিম
একইসঙ্গে হুমকি আর শান্তির বার্তা দিয়ে নতুন বছর শুরু করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন বলেছেন, পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের সুইচ সব সময়ের জন্যই তার টেবিলে থাকে। ফলে ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কখনোই যুদ্ধ শুরুর সুযোগ পাবে না’।

নতুন বছরে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সরকারি টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তব্যে কিম জং-উন বলেন, গোটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের আওতার মধ্যে।

‘এটা কোনো হুমকি নয়, এটা একটা বাস্তবতা।’ বিবিসির খবর

ভাষণে কিম বলেন, পুরো যুক্তরাষ্ট্রই উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের পাল্লার মধ্যে রয়েছে; আর এটা সত্যি, ফালতু হুমকি নয়।

আর দক্ষিণের সঙ্গে সমস্যা মিটিয়ে ফেলার আগ্রহ বোঝাতে কিম বলেছেন, তার দেশ হয়ত সিউলে আসন্ন উইন্টার অলিম্পিকে একটা দলও পাঠাতে পারে।

আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করে গতবছর একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। চালিয়েছে ষষ্ঠ ও সবচেয়ে শক্তিশালী হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষা।

গত বছরের শেষ প্রান্তে পিয়ংইয়ং যে আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় তা যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের যে কোনো জায়গায় আঘাত হানতে সক্ষম বলে ধারণা করছেন পর্যবেক্ষকরাও।

ফলে রাজনৈতিকভাবে প্রায় বিচ্ছিন্ন পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিকে নতুন নিষেধাজ্ঞা আর অর্থনৈতিক অবরোধের মুখোমুখি হতে হয়েছে।

কিন্তু কিম তার নববর্ষর ভাষণেও বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক বোমা ও ব্যালিস্টিক মিসাইল তৈরির পরিমাণ ও গতি আরও বাড়ানো উচিৎ বলে তিনি মনে করেন।

অবশ্য দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে উত্তরের যে যুদ্ধ পরিস্থিতি চলছে, আগামী বছরগুলোতে তার প্রশমন সম্ভব বলেই কিমের বিশ্বাস।

কিম বলেন, ‘২০১৮ সাল দুই কোরিয়ার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ বছর। উত্তর কোরিয়া এ বছরই প্রতিষ্ঠার ৭০তম বার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছে, আর দক্ষিণ কোরিয়া এ বছর আয়োজন করেছে উইন্টার অলিম্পিক।’

উত্তর কোরীয় নেতা বলেন, ‘২০১৮ সাল উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এ বছরই উত্তর কোরিয়া তার প্রতিষ্ঠার ৭০ বছর উদযাপন করবে আর অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় শীতকালীন অলিম্পিক শুরু হবে।’

আন্তঃদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণের পর গত এক বছর দুই দেশের মধ্যে যে চরম রাজনৈতিক উত্তেজনা চলছিল, কিম জং-উনের এ বক্তব্য সেই ধারাবাহিকতার ব্যতিক্রম বলে বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার নেতা সিউলের ফেব্রুয়ারির অলিম্পিক নিয়ে বলেন, উত্তর কোরিয়ার জনগণের ঐক্যবদ্ধস্বরূপ তুলে ধরতেই পিয়ংইয়ং সিউল অলিম্পিকে অংশ নেবে। অলিম্পিকের সাফল্যও কামনা করেন তিনি।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 Mohajog