মন্ত্রিসভায় ব্যাপক রদবদল করা হয়েছে। নতুন শপথ নেয়াদের দায়িত্ব দেয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রদবদল করা হয়েছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর বুধবার দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, আট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর দফতর পুনর্বণ্টন করা হয়েছে।
পুনর্বণ্টনকৃত এই রদবলে রাশেদ খান মেননকে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী থেকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী, এ কে এম শাহজাহান কামালকে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী, আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে পানিসম্পদ মন্ত্রী, আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে বন ও পরিবেশ মন্ত্রী, নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী, মন্ত্রী মোস্তফা জব্বারকে ডাক টেলি যোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রী, নুরুজ্জামান আহমদকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী থেকে প্রতিমন্ত্রী, তারানা হালিমকে তথ্য প্রতিমন্ত্রী এবং কাজী কেরামত আলীকে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে।
বছরের শুরুতেই আরো চার জন মন্ত্রিসভায় জায়গা পান—তারমধ্যে মৎস ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বুধবার মন্ত্রিসভায় যোগ দেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছায়েদুল হকের মৃত্যুতে পদটি শূন্য হয়, সেই পদেই বহাল হন তিনি। তবে এর আগেও প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও নারায়ণ চন্দ্র বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অংশ নেন।
গতকাল যারা শপথ নিয়েছেন: মৎস ও প্রাণি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ পদন্নোতি পেয়ে মন্ত্রী হন, রাজবাড়ীর সাংসদ কাজী কেরামত আলী প্রতিমন্ত্রী হিসেবে, লক্ষ্মীপুরের সাংসদ একেএম শাহজাহান কামাল এবং তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মোস্তফা জব্বার।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ চার জনকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
এর আগে সোমবার দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম তাদের ফোন করে শপথ নিতে বঙ্গভবনে যাওয়ার আহ্বান জানান।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. ছায়েদুল হকের মৃত্যুতে এ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর পদটি শূন্য রয়েছে।
আগামী ১২ জানুয়ারি সরকারের চলতি মেয়াদের চার বছর পূর্ণ হবে। ২০১৪ সালে শপথ নেয়া সরকারের বর্তমান মন্ত্রিসভায় মোট ৪৯ জন সদস্য রয়েছে। ৫ম বছরে পা দেয়ার আগেই নির্বাচনী বছরে বাড়ানো হলো মন্ত্রিসভার আয়তন।
বর্তমানে মৎস ও প্রাণি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা নারায়ণ চন্দ্র চন্দ পূর্ণ মন্ত্রী হন। এর আগে সবশেষ ২০১৫ সালের ১৫ জুলাই একদফা মন্ত্রিসভায় রদবদল করা হয়। এরপর দুই একজন মন্ত্রীর দপ্তর পরিবর্তন করা হয়।