1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha :
রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ০৩:২২ অপরাহ্ন

আমরণ অনশনে অসুস্থতার হার বাড়ছে

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৮
  • ১২৮ বার

নন-এমপিও শিক্ষকদের আমরণ অনশনের পঞ্চম দিন চলছে। ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়া শিক্ষকদের এই আমরণ অনশনে শীতের তাপমাত্রার সাথে পাল্লা দিয়ে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার হারও বেড়েই চলেছে।

বৃহস্পতিবার নতুন করে চারজন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত ১০১ জন শিক্ষক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বৃহস্পতিবারও শিক্ষকদের এ আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনের নেতা।

পাঁচ দিন ধরে অনশন করে অসুস্থ হয়ে প্রেসক্লাবের সামনে স্যালাইন নিয়ে শুয়ে আছেন নওগাঁর মহাদেবপুরের বিনোদপুর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মোহাম্মদ মোস্তাকিম। একমাত্র ছেলে হায়দার ফোন করে যখন বাবার খবর নিচ্ছিল, তখন ছেলেকে জানালেন, ভালো আছেন তিনি।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, এমপিওভুক্তির বিষয়ে সরকারের কাছে প্রস্তাব দেবো ও আগামী ৯ জানুয়ারি সংসদ অধিবেশনে এই শিক্ষকদের পক্ষে কথা বলব।

ফজলে হোসেন বাদশাহ বলেন, ‘সমস্ত শিক্ষাব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করতে হবে। কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা হবে আর কিছু প্রতিষ্ঠান করা হবে না। দেশে এ রকম দ্বিমুখী শিক্ষাব্যবস্থা থাকতে পারে না।’

দেশের শিক্ষাব্যবস্থা শিক্ষকদের হাতে ছেড়ে দেয়ার আহবান জানিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা আমলাদের হাতে চলে গেছে। শিক্ষকদের হাতে শিক্ষাব্যবস্থা থাকলে উনারা খুব ভালভাবে চালাতে পারতেন। কিন্তু এখন তা হচ্ছে না।’

বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে শিক্ষকরাও জড়িত শিক্ষামন্ত্রীর এ বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে শিক্ষকার কখনো জড়িত থাকতে পারে না। এর জন্য মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণভাবে দায়ী।’

তিনি বলেন, ‘কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত থাকবে, কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও থাকবে না-এ ধরনের দ্বিমুখী নীতির শিক্ষাব্যবস্থা কোনোদিন সক্রিয় এবং শক্তিশালী হতে পারে না।’

শিক্ষাবিদ আনু মুহাম্মদ শিক্ষকদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি এই নির্দেশটা দেওয়া উচিত। এইটা সরকারকে মনে রাখতে হবে যে এই শিক্ষকরা কোনো দয়া-দাক্ষিণ্য চাইছেন না। এটা তাদের অধিকার। তারা কাজ করছেন, কাজের বিনিময়ে তারা তাদের অধিকার চাইছেন। সেইটা না দেওয়ার কারণে আজকে এ ধরনের জটিলতা তৈরি হচ্ছে। যত দ্রুত সরকার এইটার সমাধান করবে, এইটা সরকারের জন্য ভালো, শিক্ষকদের জন্য ভালো, শিক্ষার জন্য ভালো।’

অনশনরত শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, ‘আমি নিজেও হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। একটু সুস্থ হয়ে আবার ফিরে এসেছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী ঘুরে যাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত আর কেউ যোগাযোগ করেনি। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আশা করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এদিকে নজর দিবেন।’

এদিকে অসুস্থ হয়ে পড়লেও শিক্ষকরা তাদের দাবির প্রতি অনড়। দাবি আদায় না হলে প্রয়োজনে রাজপথে আত্মাহুতিরও হুঁশিয়ারি দিলেন আমরণ অনশনরত শিক্ষকরা।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে আমরণ অনশন করছেন এই শিক্ষকরা।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 Mohajog