বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে শেখ হাসিনার বক্তব্য আপত্তিকর ও শিষ্ঠাচার বর্হিভূত বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য তার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, ‘নিজে সব জায়গায় হেলিকপ্টারে গিয়ে নৌকার পক্ষে জনগণের কাছে ভোট চাচ্ছেন। অথচ বিএনপিকে ছোট একটা সমাবেশও করতে দিচ্ছে না। এটাই কি আওয়ামী লীগ সরকারের গণতন্ত্র? গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে আওয়ামী লীগই।’
‘জনগণ ভোট দিয়েছে বলেই নির্বিঘ্নে কোনও বাধা ছাড়াই এ সরকার চার বছর পূর্ণ করেছে’— সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি রাষ্ট্রযন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে জোর ও দখলদারিত্বের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে আছেন। আমি বলব, ন্যূনতম সম্মানবোধ থাকলে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ নির্বাচন দেবেন।’
গতকাল রবিবার জাতীয় সংসদে দেওয়া রাষ্ট্রপতির ভাষণ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি ও সংসদের প্রতি আমাদের পূর্ণ সম্মান রয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়— রাষ্ট্রপতি পুরোপুরিভাবে আওয়ামী লীগের দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। আমরা জানি, রাষ্ট্রপতি যে বক্তব্য দিয়ে থাকেন তা নিয়ম অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অনুমোদিত হয়ে আসে।’
সংবাদ সম্মেলনের আগে দলের প্রতিষ্ঠাতা মেজর জিয়াউর রহমানের ৮২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ৮ দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করে দলটি।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১৮ জানুয়ারি রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা করবে দলটি, ১৯ জানুয়ারি সকালে জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
এছাড়া, সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র প্রকাশ ও পোস্টার ছাপানো হবে, শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে, থাকবে ছাত্রদলের আলোকচিত্র প্রদর্শনী, শ্রমিক দলের বিজয় র্যা লি, রচনা প্রতিযোগিতা, মহিলা দলের শীতবস্ত্র ও কাপড় বিতরণ, ড্যাবের ফ্রি মেডিক্যাল কর্মসূচি।