বাগেরহাটে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জে র্যাব-৮ এর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু সুমন বাহিনীর ৩ সদস্য নিহত হয়েছেন। এসময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে সুখপাড়া চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
ঘটনাস্থলে থাকা র্যাব-৮ এর অপারেশন অফিসার সোহেল রানা প্রিন্স এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে বিস্তারিত পরবর্তীতে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জানানো হবে।
বাগেরহাটে বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু নিহত, ছয় জেলে উদ্ধার
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনে নৌ-পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ফরিদ হোসেন (৩৫) নামে এক বনদস্যু নিহত হয়েছেন।
০৯ জানুয়ারি সোমবার দিবাগতরাত আড়াইটার দিকে চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের শ্যালা নদী সংলগ্ন কাতিয়ার খালে এ ঘটনা ঘটে। এসময় দস্যুদের কাছে জিম্মি থাকা ৬ জেলেকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত জেলেরা হলেন, শরণখোলা উপজেলার দক্ষিণ বাধাল গ্রামের ইসমাইল ফকিরের ছেলে শাহ্ আবুল ফকির (২৮), উত্তর রাজাপুর গ্রামের ইসমাইল খানের ছেলে সুমন খান (২০), একই গ্রামের মোফাজ্জেল আকনের ছেলে সুমন আকন (২৮), রতিয়া রাজাপুর গ্রামের রুহুল পহলানের ছেলে ইসরাফিল পহলান (২৩), মোংলা উপজেলার খাসেরডাঙ্গা গ্রামের নিরোধ হালদারের ছেলে প্রতুল হালদার (২৮) এবং জয়মনি গ্রামের ছত্তার হাওলাদারের ছেলে হাফিজ হাওলাদার (২৫)।
ধানসাগর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আকবর আলী বলেন, অপহৃত ওই জেলেদের উদ্ধারে অভিযান চালানো হয়। বনের ভেতর থেকে জেলেদের চিৎকার ভেসে আসে। এসময় সামনের দিকে অগ্রসর হলে পুলিশকে লক্ষ্য করে দস্যুরা গুলি ছুঁড়তে থাকে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।
প্রায় আধা ঘণ্টা গোলা-গুলির পর টিকতে না পেরে দস্যুরা বনের গহীনে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে গুলিবিদ্ধ ওই দস্যুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় দস্যুদের আস্তানা থেকে জিম্মি ৬ জেলে, একটি টুটুবোর রাইফেল, একটি এয়ারগান, ৬টি মোবাইল ফোনসেট, একটি ডিঙি নৌকাসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়। নিহত দস্যু ফরিদের বাড়ি মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের বৌদ্দমারী গ্রামে।