দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বৃহস্পতিবার। বুধবার বিকেলে সংসদ সচিবালয়ে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদেরেএ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা।
তিনি বলেছেন, আগামী ১৮ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
সিইসি বলেন, এই নির্বাচনকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার সকালে নির্বাচন কমিশনে বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠক শেষে তফসিল ঘোষণা হবে।
সিইসি বলেন, ফেব্রুয়ারির ১৮ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে যে কোনো দিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে ৩৪৮ জন এমপি ভোট দেবেন। সংসদের আসন ৩৫০ হলেও দুটি আসন শূন্য রয়েছে।
সিইসি বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে নির্বাচন নিয়ে ইসি ব্যর্থ নয়। আইনগতভাবে ইসি নির্বাচনের তফসিল দিয়েছিল। কিন্তু আদালত যদি কারও আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কিছু করে থাকে, তাহলে ইসির কিছু করার নেই।
কে এম নুরুল হুদা আরো বলেন, স্থগিতাদেশের সত্যায়িত কপি তারা বুধবার পেয়েছেন। আলোচনা করে এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করা হবে।
এর আগে মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে ভোটার তালিকা চেয়ে চিঠি দেয়া হয়। কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত রয়েছে।
জানা গেছে, ২৪ জানুয়ারি থেকে ২১তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে রেখে করণীয় ঠিক করতে বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে বৈঠক ডাকা হয়েছে।
ইসির প্রস্তুতির মধ্যেই গত সোমবার রাতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ১৯ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে বলে ইসির কাছে জানতে পেরেছি। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৯ মেয়াদে ১৬ জন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। সে হিসেবে বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ পদে সপ্তদশ ব্যক্তি।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল দায়িত্ব নেয়া বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের পাঁচ বছরের মেয়াদ চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল শেষ হবে।
সংবিধানের ১২৩ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি-পদের মেয়াদ অবসানের কারণে ওই পদ শূন্য হইলে মেয়াদ-সমাপ্তির তারিখের পূর্ববর্তী নব্বই হইতে ষাট দিনের মধ্যে শূন্য পদ পূরণের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।