‘খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলেও বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিবে’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার দুপুরে নিজ জেলা ফেনী সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।এসময় তিনি বলেন, বিএনপি বলেছে খালেদা জিয়াকে ছাড়াও তারা শক্তিশালী। সেই শক্তিশালী বিএনপিকে নিয়েই তারা নির্বাচন করবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে এটা নিশ্চিত। খালেদা জিয়া অংশ নিতে পারবেন কি না এটা আদালতের এখতিয়ার। আইনি জটিলতার কারণে খালেদা জিয়া অংশ নিতে না পারলেও বিএনপি মাঠে আছে, তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেবে।’
বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, রায়ের পর ১০ দিন হতে চললেও এখনো আদালত সত্যায়িত কপি আইনজীবীদের কাছে হস্তান্তর করেনি। আপিল বিলম্ব করে খালেদা জিয়ার কারাবাস দীর্ঘ করার জন্যই তা করা হচ্ছে।
জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘৬৩২ পৃষ্ঠার রায়ের সার্টিফাইড কপি পেতে যুক্তিসংগত সময় লাগবে। এ নিয়ে অহেতুক ধুম্রজাল সৃষ্টির প্রয়োজন নেই। নির্ধারিত সময়ে তারা তা পাবেন বলেই আমার বিশ্বাস।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি ভেবেছিল খালেদা জিয়ার দুর্নীতির মামলার রায় হওয়া এবং গ্রেপ্তারের পর রাজপথে উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টি হবে, বঙ্গোপসাগরে ঢেউ নামবে। কিন্তু তা হয়নি। এ বিষয়ে মানুষের সাড়া মেলেনি। বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ইতিহাস নেই।’
‘হাইকোর্টের সামনে প্রিজন ভ্যানে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ কমসূচি পালনে বিএনপির সক্ষমতা নেই। খালেদা জিয়ার মামলার রায় নিয়ে আওয়ামী লীগ কোনো কর্মসূচি দেয়নি। আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি কমসূচি দিয়েছে। খালেদা জিয়ার সঙ্গে গৃহপরিচারিকাকে কারগারে থাকার অনুমতি দিয়েছেন আদালত; এটা নজিরবিহীন ঘটনা।’
সেতুমন্ত্রী এসময় আরো জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মেঘনা ও গোমতী সেতু নির্মাণে প্রাক্কলনের চাইতে সাতশ কোটি টাকা কম খরচ হবে এবং নির্ধারিত সময়ের ছয় মাস আগে অর্থাৎ আগামী ডিসেম্বর মাসে নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এসময় ফেনী জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার রায়, পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বিকম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল ও ফেনী পৌরসভার প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী উপস্থিত ছিলেন।