1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন

বেসরকারি ব্যবস্থায় হজের ব্যয় বেড়েছে

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৫ মার্চ, ২০১৮
  • ১৩৯ বার

চলতি বছর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পবিত্র হজ পালন ইচ্ছুকদের জন্য হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। এতে হজে যাওয়ার খরচ গতবারের তুলনায় ১৩ হাজার ৫১৩ টাকা বেড়েছে।

সোমবার রাজধানীর এক হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে হাবের মহাসচিব শাহাদাত হোসেন চৌধুরী হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেন।

এবার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে হলে সর্বনিম্ন ৩ লাখ ৩২ হাজার ৮৬৮ টাকা পরিশোধ করতে হবে। এর মধ্যে বিমান ভাড়া বাবদ ১ লাখ ৩৮ হাজার ১৯১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এই প্যাকেজে কোরবানির মূল্য ধরা হয়নি। গতবার হজে যেতে প্যাকেজে প্রতি খরচ হয়েছিল ৩ লাখ ১৯ হাজার ৩৫৫ টাকা।

হাবের মহাসচিব বলেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২০১৮ এর সর্বনিম্ন প্যাকেজ ৩ লাখ ৩২ হাজার ৮৬৮ টাকা। আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে স্ব স্ব হজ এজেন্সির অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিয়ে রশিদ সংগ্রহ করতে হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার ২০১৮ সালের বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে চলতি বছরের হজ প্যাকেজ চূড়ান্ত করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। প্রস্তাবিত হজ প্যাকেজ-১-এ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৯৬ হাজার টাকা, যা গত বছর ছিল ৩ লাখ ৮১ হাজার ৫০৮ টাকা। প্যাকেজ-২-এ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ২৯ হাজার ২৪০ টাকা, যা গত বছর ছিল ৩ লাখ ১৯ হাজার ৩৩৫ টাকা। ফলে গত বছরের তুলনায় জনপ্রতি খরচ বেড়েছে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা। এর বাইরে প্রতিবছরের মতো এবারও আলাদাভাবে কোরবানির জন্য খরচ করতে হবে সাড়ে ১০ হাজার টাকা। এছাড়া হাজীদের ট্রলিব্যাগ কেনাকাটায় অনিয়ম ঠেকাতে এবারের প্যাকেজে এই খাতে কোনো ব্যয় ধরা হয়নি। সরকারের বেঁধে দেয়া শর্ত অনুযায়ী নির্দিষ্ট আয়তন, পরিমাপ ও কালারের ট্রলিব্যাগ সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সি যাত্রীদের সরবরাহ করবে। প্রস্তাবিত হজ প্যাকেজ ও নীতিমালা অনুমোদনের জন্য শিগগিরই মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব আনিছুর রহমান সোমবার নিজ দফতরে যুগান্তরকে বলেন, হজ প্যাকেজের খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। এরই মধ্যে তা অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকেই প্যাকেজ মূল্য চূড়ান্ত হবে। সেক্ষেত্রে কিছু কমবেশি হতে পারে। প্যাকেজ মূল্য কত ধরা হয়েছে জানতে চাইলে এ বিষয়ে কিছু বলতে অস্বীকার করেন ধর্ম সচিব।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রতিবারের মতো এবারও দুটি হজ প্যাকেজ প্রস্তুত করা হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার ১৫ হাজার টাকা বেশি প্রস্তাব করে প্যাকেজ-১-এ খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। গত বছর এই প্যাকেজের মূল্য ছিল ৩ লাখ ৮১ হাজার ৫০৮ টাকা। ১০ হাজার টাকা বেশি প্রস্তাব করে প্যাকেজ-২ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ২৯ হাজার ২৪০ টাকা। গত বছর ছিল ৩ লাখ ১৯ হাজার ৩৩৫ টাকা। একই প্যাকেজ বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাওয়া হজযাত্রীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। প্যাকেজের বাইরে প্রত্যেক হজযাত্রীকে কোরবানি খরচ বাবদ সাড়ে ১০ হাজার টাকার (৫৫০ রিয়াল) সমপরিমাণ সৌদি রিয়াল নিজ দায়িত্বে সঙ্গে নিতে হবে। গত হজযাত্রীদের প্রতিটি ট্রলি ব্যাগের মূল্য আড়াই হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু অধিকাংশ হাজীকে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা দামের নিুমানের ব্যাগ সরবরাহ করার অভিযোগ উঠে। কোনো কোনো এজেন্সি যাত্রীদের ট্রলিব্যাগ ছাড়াই হজে পাঠায় বলে অভিযোগ উঠে। এসব বিষয় বিবেচনায় এবার হজ প্যাকেজে ট্রলিব্যাগের কোনো ব্যয় নির্ধারণ করা হয়নি।

জানা গেছে, ধর্ম মন্ত্রণালয় ও এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হাব’র আপত্তি সত্ত্বেও এবার বিমান ভাড়া বাড়িয়েছে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। বিমানের তেলের দাম, ভ্যাট, হ্যান্ডলিং চার্জসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিকতা ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ১ হাজার ৬০৮ ডলার (ভ্যাট বাদে) প্রস্তাব করে তারা। এর সঙ্গে এজেন্টের ২৫ ডলারসহ ১ হাজার ৬৩৩ ডলার বা প্রায় ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা হয়। গত বছর হজে বিমান ভাড়া ছিল ১ লাখ ২৪ হাজার ৭২৩ টাকা।

হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) মহাসচিব শাহাদাত হোসাইন তসলিম যুগান্তরকে বলেন, যাত্রীপ্রতি কয়েক হাজার টাকা বাড়িয়ে হজ প্যাকেজ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জেনেছি। শিগগিরই তা মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে, সেখানেই প্যাকেজ মূল্য চূড়ান্ত করবে সরকার।

সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি সৌদি আরবের হজ কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মধ্যে হজ চুক্তি সম্পন্ন হয়। ২০১৮ সালের হজ পালনেচ্ছুদের নিবন্ধন শেষ হয়েছে অনেক আগেই। ২০১৯ সালের হজ নিবন্ধনও প্রায় শেষ পর্যায়ে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে হজে যাবেন ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশি। চুক্তি অনুযায়ী এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২১ আগস্ট চলতি বছরের পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog