ঢাকাই ছবির যে’জন নায়িকা দর্শকমনে দীর্ঘস্থায়ী ভালোবাসা অর্জন করেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম পূর্ণিমা। নব্বইয়ের দশকের একদম শেষ দিকে সিনেমায় পা রেখে দীর্ঘ সময় সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছেন এই ইন্ডাস্ট্রিতে। লাস্যময়ী চেহারা, মন ভোলানো হাসি আর অভিনয়ের দক্ষতা দিয়ে তিনি জয় করেছেন কালের সীমানা। যার ফলে অনেক বছর তিনি সিনেমায় কাজ না করলেও দর্শক তাকে এখনো সমানভাবে ভালোবাসে।
এদিকে আজ পূর্ণিমার জন্মদিন। ১৯৮১ সালের ১১ জুলাই তিনি জন্মগ্রহণ করেন। এই বিশেষ দিনে পূর্ণিমাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন তার ভক্ত, শুভাকাঙ্ক্ষী ও শোবিজ অঙ্গনের মানুষরা। রীতিমত শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছেন পূর্ণিমা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দেয়ালে চোখ রাখলে কেবলই পূর্ণিমার জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা দেখা যাচ্ছে।
জন্মদিনে বিশেষ কোনো আয়োজন করছেন না পূর্ণিমা। পরিবারের সঙ্গেই কাটছে তার এই বিশেষ দিন। তবে দুপুর সাড়ে ১২টায় তিনি চ্যানেল আইয়ের তারকা কথন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন।
চলচ্চিত্র দিয়ে শোবিজ ক্যারিয়ার শুরু করলেও পূর্ণিমাকে এখন সিনেমায় দেখা যায় না। কয়েক বছর ধরেই তিনি কেবল নাটক-টেলিফিল্মে অভিনয় ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছেন। এছাড়া বিভিন্ন পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানেও তার উপস্থাপনা আলোচিত হয়েছে। সর্বশেষ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছেন পূর্ণিমা।
পূর্ণিমার চলচ্চিত্র জীবন শুরু হয় ১৯৯৮ সালে জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘এ জীবন তোমার আমার’ ছবির মাধ্যমে। ক্যারিয়ারে তিনি শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ‘মনের মাঝে তুমি’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘হৃদয়ের কথা’, ‘শাস্তি’, ‘সুভা’, ‘রাক্ষুসী’, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’, ‘মনের সাথে যুদ্ধ’, ‘ওরা আমাকে ভালো হতে দিলো না’, ‘সুলতান’-এর মতো দর্শকপ্রিয় ও ব্যবসাসফল ছবি।
অভিনয়ের জন্য পূর্নিমা একবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও চারবার মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেন।