1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন

পাকিস্তানে সরকার গঠনে যেভাবে তৎপরতা চালাচ্ছেন ইমরান খান

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৯ জুলাই, ২০১৮
  • ২১৫ বার

পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। নির্বাচন কমিশন সর্বশেষ যে ফল প্রকাশ করেছে, তাতে এবারের এগারোতম সাধারণ নির্বাচনে জাতীয় পরিষদের ২৭০ আসনের মধ্যে ইমরানের পিটিআই জয় পেয়েছে ১১৫ আসনে।

এছাড়া দেশটির তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাবন্দি নওয়াজ শরিফের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৬৪ আসনে জয় পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছে। এছাড়া পাকিস্তান পিপলস পার্টি ৪৩ আসনে জয় পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর জোট মুত্তাহিদা মজলিস-ই-আমল (এমএমএ) ১২টি আসনে জয় পেয়েছে। মুত্তাহিদা কাওমী মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) ৬ আসনে জয়ী হয়েছে।

এছাড়া পিএমএল-কিউ ও নবগঠিত রাজনৈতিক দল বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টি (বিএপি) চার আসনে এবং সিন্ধু প্রদেশেভিত্তিক গ্র্যান্ড ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (জিডিএ) মাত্র দুটি আসনে জয় পেয়েছে।

বেলুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টি পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে তিনটি ও আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি (এএনপি) মাত্র একটি আসনে জয়ী হয়েছে। আওয়ামী মুসলিম লীগ (এএমএল), পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসানিয়াত ও জামহুরি ওয়াত্তান পার্টি (জেডব্লিউপি) জাতীয় পরিষদের একটি করে আসনে জয়ী হয়েছে।

অন্যদিকে, দেশটির ১২ স্বতন্ত্র প্রার্থী এবারের নির্বাচনে তাদের সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। সরকার গঠন করতে কোনো দলই প্রয়োজনীয় ১৩৭ আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় জোট সরকার গড়ার হিসেব-নিকেশ শুরু করেছে ১১৫ আসনে জয়ী ইমরান খানের পিটিঅাই। এসব ছোট দল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে ইতোমধ্যে আলোচনাও শুরু করে দিয়েছে দলটি।

এদিকে, অন্যতম প্রধান দুই দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ও পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) নতুন কৌশল অবলম্বন করতে যাচ্ছে পার্লামেন্টে পিটিআইকে চাপে রাখতে।

টিভিতে সম্প্রচারিত সংবাদ অনুযায়ী, পিপিপি নেতা সৈয়দ খুরশিদ শাহ পিএমএল-এনের প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফের সঙ্গে রবিবার সাক্ষাৎ করবেন। এতে যৌথভাবে কৌশল প্রণয়ন করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শনিবার দিনভর বিভিন্ন টেলিভিশনে কেন্দ্রীয় সরকারের সম্ভাব্য মন্ত্রীদের নাম প্রচার করা হয়েছে। কিন্তু পিটিআই সূত্র সংবাদমাধ্যম ডনকে জানিয়েছে, তারা কোনো নাম নিয়ে আলোচনা করেনি। ইমরান খানের বানিগালা বাসভবনে দল নানা হিসাব-নিকাশে ব্যস্ত।

পিটিআই নেতা শাফকাত মেহমুদ বলেন, বানিগালায় আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠক হয়নি। সরকার গঠনের পর কী ধরনের সমস্যার আবির্ভাব হতে পারে, তা নিয়ে নেতারা সাধারণভাবে আলোচনা করেছেন। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বা কোনো মুখ্যমন্ত্রীর নাম আলোচনায় আসেনি।

মেহমুদ অস্বীকার করে বলেন, দল থেকে তাকে পার্লামেন্টের স্পিকার হিসেবে মনোনীত করেনি।

এদিকে, যেসব পিটিআই নেতা একাধিক আসনে জয় পেয়েছেন, তাদের অতিরিক্ত আসন ছেড়ে দিতে হবে। ইমরান খান পাঁচ আসনে জিতেছেন— তাকে চারটি আসন ছাড়তে হবে। তক্ষশীলার গুলাম সারওয়ার খান দুই আসনে জয় পেয়েছেন। তাকেও একটি ছাড়তে হবে। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পারভেজ খাত্তাক কেন্দ্রীয় পার্লামেন্ট ও প্রাদেশিক পার্লামেন্টে জয় পেয়েছেন। তাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আবার মনোনীত করলে কেন্দ্রীয় আসনটি ছাড়তে হবে। এসব কারণে পিটিআইর আসন কমে দাঁড়াবে ১০৯-এ।

পিটিআই নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা অন্যান্য ছোট দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয় পাওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করবে। এ ছাড়া পিটিআই নেতারা জানিয়েছেন, তারা পিপিপি ও পিএমএল-এন নেতাদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা যাবেন না বা হাত মেলাবেন না।

সূত্র জানায়, পিটিআইর সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর তারিন বিভিন্ন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তানের (এমকিউএম-পি) যোগাযোগ স্থাপন করেছেন। এমকিউএম-পি ছয়টি আসন জয় পেয়েছে আর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দখলে আছে ১২টি আসন।

বিভিন্ন সূত্র জানায়, গ্র্যান্ড ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (জিডিএ) নেতা মমতাজ ভুট্টোর সঙ্গে জোট সরকারে যোগদানের ব্যাপারে কথা বলেছেন ইমরান খান নিজেই। এ ছাড়া পিএমএল-কায়েদে বা পিএমএল-কিউ চারটি আসনে জয় পেয়েছে। এদের সমর্থন পেতে পারে পিটিআই। বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টি (বিএপি) চারটি আসনে জয় পেয়েছে। পিটিআই তাদের সমর্থন আশা করছে।

পিটিআই যদি জিডিএ, এমকিউএম-পি, পিএমএল-কিউ ও আওয়ামী মুসলিম লিগের সমর্থন পায়, তাহলে আসন বেড়ে দাঁড়াবে ১২২-এ। তারপরও ১৫টি আসন দরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দিয়েও সেই ঘাটতি পূরণ সম্ভব নয়।

অন্যান্য দলের মধ্যে ন্যাশনাল বেলুচিস্তান পার্টি-মেঙ্গাল (বিএনপি-এম) তিনটি আসন এবং জামহুরি ওয়াতান পার্টি, আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসানিয়াতের একটি করে আসন রয়েছে।

পিপিপি ও পিএমএল-এন নির্বাচনী ফল প্রত্যাখ্যান করলেও তারা ন্যাশনাল অ্যাসেমব্লির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকবে বলে জানিয়েছে। মুত্তাহিদা মুজলিস-ই-আমল (এমএমএ) এ অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।

পিএমএল-এনের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘আমরা পার্লামেন্টে বিরোধী পক্ষ হিসেবে জোরালো ভূমিকা পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

পিপিপির এক নেতা বলেন, তারা এখনো কোনো কৌশল ঠিক করেনি। দলের চেয়ারম্যান বিলওয়াল ভুট্টো জারদারি শনিবার একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন, যাতে অন্যান্য দলের সঙ্গে নির্বাচন-উত্তর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা যায়।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog