1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন

ধুঁকে ধুঁকে চলছে রূপকথা সিনেমা হল

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ৩৬৮ বার

একটা সময় মানুষের বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দুই ছিল সিনেমা হল। ঈদ কিংবা কোনো বিশেষ দিবস উপলক্ষে সিনেমা হলে নতুন ছবি এলেই হলে হুমড়ি খেয়ে পড়ত দর্শকরা। টিকিট বিক্রি হতো কালোবাজারে। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় হলগুলো এখন এখন দর্শকবিমুখ হয়ে পড়েছে। টিকিট কেনা নিয়ে হৈ হুল্লোড় তো দূরের কথা, এখন টিকিট কাটতে লাইনেও দাঁড়াতে হয় না। ফাঁকা পড়ে থাকে হলের টিকিট কাউন্টার।

ঢাকার অদূরে পাবনা জেলার ৯ উপজেলায় সিনেমা হল ছিল ২৬টি। এর মধ্যে পাবনা সদরে বীণা সিনেমা, রূপকথা সিনেমা, ভাঙ্গুড়া উপজেলায় মৌচাক সিনেমা ও চাটমোহর উপজেলায় লাভলী সিনেমা হল ছিল দর্শকদের বাড়তি আগ্রহের বিনোদনের জায়গা। কিন্তু একে একে বন্ধ হয়ে গেল এইজেলার ২৫টি হলই। চালু রয়েছে শুধুমাত্র একটি সিনেমা হল রূপকথা। কিন্তু সেটাও চলহে ধুঁকে ধুঁকে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাবনা জেলার সবচেয়ে পুরনো সিনেমা হল ছিল শহরের আব্দুল হামিদ সড়কে ‘অরড়া টকি’। পরে যেটি বাণী সিনেমা হল নামে পরিচিত ছিল। একই মালিকের বাণী সিনেমার গা ঘেঁষে গড়ে উঠেছিল বীণা সিনেমা হলটি।দর্শক স্বল্পতার কারণে বন্ধ হয়ে যায় সেগুলোও। ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই দুটি হল সচল ছিল কিন্তু শেষ দিকে এসে বন্ধ হয়ে যায়।

এ ছাড়া এক সময়ের সাড়া জাগানো পাবনার অনন্ত সিনেমা হলটি এখন গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। একই মালিকের রূপকথা সিনেমা হল টিকে আছে কোনো রকমে।

রূপকথা সিনেমা হলে প্রায় ৪০ বছর ধরে টিকিট বিক্রি করছেন ফজলুল। তিনি বলেন, বর্তমানে সিনেমা হলের ব্যবসায় একেবারেই মন্দা। সিনেমা হলের দর্শক শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। ফলে মাস শেষে বিদ্যুৎ বিল, কর্মচারীর বেতন, সিনেমা ক্রয়সহ বিভিন্ন খরচ হিসাব করে লোকসান গুনতে হয়। তাই বাধ্য হয়েই তাদের ওই ব্যবসা গুটিয়ে নিতে হয়েছে। অনেকে সিনেমা হলের ভবনটিতে গোডাউন বা অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।

জেলার বিভিন্ন উপজেলায় খোঁজ নিয়ে দেখে গেছে, জেলার বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হলগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পাবনা শহরের বাণী সিনেমা, অনন্ত সিনেমা, সদর উপজেলার টেবুনিয়ায় আনন্দ সিনেমা, সুজানগর উপজেলার নন্দিতা সিনেমা, ঈশ্বরদী উপজেলার প্লাজা সিনেমা, রাজু সিনেমা, স্বপ্না সিনেমা, চাটমোহর উপজেলার অর্পণ সিনেমা, দেওয়ানা সিনেমা, বেড়া উপজেলার ইছামতি সিনেমা, মন্দিরা সিনেমা, মুভি সিনেমা, সাঁথিয়া উপজেলার অলঙ্কার সিনেমা, শাপলা সিনেমা, ভাঙ্গুড়া উপজেলার রংধনু সিনেমা, পাইলট সিনেমা, ফরিদপুর উপজেলার বলাকা সিনেমা, মধুমিতা সিনেমা ও আটঘরিয়া উপজেলার একমাত্র সিনেমা হল উপহার।

তিনি আরও বলেন, ‘ভাত দে’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘অবুঝ মন’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘নয়নমণি’এমন কালজয়ী ছবি আগে সিনেমা হলে প্রদর্শিত হতো। এসব ছবি মানুষ ৩ ঘণ্টা ধরে দেখত।

বর্তমানে মানুষের ৩ ঘণ্টা ধরে ছবি দেখার মানসিকতা নেই। এখন সব শ্রেণির মানুষের দেখার মতো ছবিও খুবই কম। ফলে মানুষ সিনেমা হলবিমুখ হয়ে পড়েছে। শুধু তা-ই নয়, এখন বিনোদনের বিভিন্ন মাধ্যম চালু রয়েছে মানুষের হাতে হাতে। মোবাইলেই এখন সবকিছু দেখা যায়। যার কারণে এখন কেউ আগ্রহ নিয়ে সিনেমা হলে আসে না।

 

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog