1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৫৪ অপরাহ্ন

বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভের বছর

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ২২১ বার

২০১৯ সালকে বলা হচ্ছে সড়কে বিক্ষোভকারীদের বছর। বিদায়ী বছরজুড়ে বিভিন্ন দেশে এমন বিক্ষোভ দেখা গেছে। যার বেশিরভাগই সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়।

ভারত

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) প্রতিবাদে বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে। সেই বিক্ষোভ এখনও চলমান রয়েছে। এছাড়া, বিক্ষোভ চলছে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) ও জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধনের (এনপিআর) বিরুদ্ধেও।

২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর পাস হওয়া এ আইনে ১৯৫৫ সালের ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যাওয়া অমুসলিম অবৈধ অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তারপর থেকেই এই আন্দোলন ব্যপক আকার ধারন করে। চলমান এই বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে এ পর্যন্ত অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন।

হংকং

২০১৯ সালের জুন মাসে চীন প্রস্তাবিত একটি অপরাধী প্রত্যর্পণ বিল বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয় চীনের আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকংয়ে। গণতান্ত্রিক হংকং প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিক্ষোভ এখনো অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ১ হাজার জনের বয়স ১৮ বছরেরও কম।

ইরান

চলতি বছরের ১৫ নভেম্বরে ইরানে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রতিবাদে শুরু হয় বিক্ষোভ। তথ্য মতে এই বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ৩০০ মানুষ নিহত ও হাজারও মানুষ আহত হয়েছেন। কয়েক হাজার বিক্ষোভকারীকে আটক করার কথা স্বীকার করলেও ইরানের দাবি, বিক্ষোভে কারো প্রাণহানি হয়নি।

ইরাক

উন্নত জীবনব্যবস্থা ও কর্মসংস্থান এবং দুর্নীতির অবসানের দাবিতে গত ১ অক্টোবর থেকে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে ইরাকে। চলমান এ বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ৪০০ বিক্ষোভকারী নিহত ও ১৫ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। ৩০ নভেম্বর প্রবল বিক্ষোভের মুখে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি পদত্যাগ করেন।

লেবানন

চলতি বছরের ১৭ অক্টোবর হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন কর আরোপের ঘোষণা দেয়ায় বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে লেবাননের জনতা। পরে কর প্রত্যাহার করা হলেও রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলতে থাকে দেশটিতে। ২৯ অক্টোবর তীব্র বিক্ষোভ-আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি। তারপরও বিক্ষোভ রয়েছে লেবাননে।

চিলি

মেট্রোরেলের ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ গত ১৮ অক্টোবর বিক্ষোভ শুরু করে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলির সাধারণ মানুষ। বিক্ষোবের মুখে দেশটির সরকার ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত করলেও রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য নিরসনে বিক্ষোভ চলছে এখনো। বিক্ষোভে সহিংসতায় এ পর্যন্ত ২৬ জন নিহত ও কয়েকশ’ মানুষ আহত হয়েছেন।

ইকুয়েডর

চলতি বছরের অক্টোবরে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার শর্ত হিসেবে জ্বালানিতে ভর্তুকি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো। এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামে দেশটির হাজারও জনতা। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের মধ্যে ২ মাসের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেন মোরেনো। তারপরও মাত্র ২ সপ্তাহের বিক্ষোভেই জ্বালানি ভর্তুকি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে বাধ্য হয় সরকার।

বলিভিয়া

গত ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে উত্তর আমেরিকার দেশ বলিভিয়া। এ বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস। বিক্ষোভে সহিংসতায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া, আটক করা হয়েছে ৬০০ বিক্ষোভকারীকে।

ফ্রান্স

চলতি মাসের ৫ ডিসেম্বর থেকে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর পেনশন ব্যবস্থা ও অবসরের সময়সীমা সংস্কার পরিকল্পনা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ-ধর্মঘটে অচলাবস্থা শুরু হয় ফ্রান্সে। দেশজুড়ে এধরনের ধর্মঘট ফ্রান্সের গত কয়েক যুগের ইতিহাসে এই প্রথম।

ইতালি

কট্টর ডানপন্থি নেতা মাতেও সালভিনি ও লিগ পার্টির বিরুদ্ধে চলতি বছরের নভেম্বর থেকে বিক্ষোভ চলছে ইতালিতে। ৩০ নভেম্বর ইতালির ফ্লোরেন্সে তরুণদের নেতৃত্বে ‘সার্ডিন মুভমেন্ট’ এর র‌্যালিতে অংশ নেন ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ।

স্পেন

স্পেনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল কাতালোনিয়ায় স্বাধীনতার দাবিতে গণভোট আয়োজনের ঘটনায় ১৪ অক্টোবর ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে ৯ কাতালান নেতাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করেন স্বাধীনতাকামী কাতালানরা। ১৮ অক্টোবর বিক্ষোভে রাস্তায় নেমে সেন্ট্রাল বার্সেলোনা অচল করে দেন প্রায় আধা লাখ মানুষ।

আলজেরিয়া

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তনের দাবিতে প্রবল গণআন্দোলনের মুখে এ বছরের এপ্রিলে পদত্যাগ করেন আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আবদেলাজিজ বুতেফ্লিকা। ২০ বছর দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। বিক্ষোভকারীদের আপত্তি সত্ত্বেও ১২ ডিসেম্বর দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ৫৮ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন আবদেলমাদজিদ তেবোনে। ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বুতেফ্লিকা সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তেবোনে। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি দাবি করে এবং নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে বয়কট করে বিক্ষোভকারীরা এখনো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ ছাড়াও ২০১৯ সালে বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে কলম্বিয়া, ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, হাইতি, ভেনিজুয়েলা, জিম্বাবুয়ে, সুদান, ইথিওপিয়া, মিশর, সাউথ আফ্রিকাসহ আরও অনেক দেশ।

 

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog