ইরানের বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) অভিজাত শাখা কুদস্ বাহিনীর নতুন প্রধান পদে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইসমাইল কানিকে নিয়োগ দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনী। মার্কিন বিমান হামলায় নিহত মেজর জেনারেল কাসেম সোলেইমানির স্থলাভিষিক্ত হলেন কানি।
শুক্রবার খামেনীর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক আদেশে এ নিয়োগের কথা জানানো হয়। এতে ইসমাইল কানিকে ‘সবচেয়ে চৌকস বিপ্লবী গার্ড কমান্ডারদের একজন’ উল্লেখ করে বলা হয়, ‘বীর জেনারেল হাজি কাসেম সোলেইমানির শাহাদাতের পর আমি কুদস্ বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইসমাইল কানিকে নিযুক্ত করলাম।’
জেনারেল ইসমাইল গনি এর আগে লে. জেনারেল কাসেম সোলেমানির সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছিলেন, সোলেমানির অধীনে কুদস ইউনিটের কার্যক্রম যেমন ছিল ‘এখনো ঠিক তেমনই থাকবে’।
সোলেইমানির মতোই ইসমাইল কানিও কট্টর ইসরায়েলবিরোধী বলে পরিচিতি সশস্ত্র বাহিনীতে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে ইরানের জড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে সোলেইমানির মতোই ভূমিকা ছিল কানিরও।
ইসমাইল কানি ইরান-ইরাক যুদ্ধে (১৯৮০-৮৮) বীরোচিত ভূমিকার জন্য খ্যাতি লাভ করেন। তিনি নিহত সোলেইমানির ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচিত। বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দা বিভাগেও দায়িত্ব পালন করেন কানি।
শুক্রবার ভোরে বাগদাদ বিমানবন্দরে মার্কিন বাহিনীর বিমান হামলায় জেনারেল সোলেইমানি নিহত হন। তিনি খামেনীর সবচেয়ে আস্থাভাজন জেনারেলদের একজন ছিলেন।
তবে এই ঘটনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ‘চরম প্রতিশোধের মুখে পড়তে হবে’ বলে হুংকার ছেড়েছেন খামেনী। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বের কুচক্রি ও শয়তান রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধে অনেক বছর ধরে একনিষ্ঠ ও বীরোচিত জিহাদ চালিয়ে গেছেন জেনারেল সোলেইমানি। শাহাদাতের যে আকাঙ্ক্ষা তিনি পোষণ করতেন শেষ পর্যন্ত সেই মর্যাদায় তিনি অধিষ্ঠিত হলেন। তার রক্ত ঝরেছে মানবতার সবচেয়ে বড় শত্রু যুক্তরাষ্ট্রের হাতে। যেসব অপরাধী তাদের নোংরা হাত দিয়ে গতরাতে জেনারেল সোলেইমানির রক্ত ঝরিয়েছে তাদের জন্য ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে।’