ঢাবির জহুরুল হক হলে শিবির সন্দেহে কয়েকজনকে সারারাত অমানুষিকভাবে পিটিয়েছে ছাত্রলীগ। এটি বেআইনি ও সশ্রম কারাদণ্ডযোগ্য কাজ। এটি যারা করেছে সেই ছাত্রলীগের ছেলেদের পুলিশে দেয়া হয়নি। হলের দায়িত্বে থাকা ঢাবি শিক্ষকরা পুলিশে দিয়েছে যারা মার খেয়েছে উল্টো তাদের।
উল্লেখ্য, শিবির করা বাংলাদেশের কোন আইনে অপরাধ নয়। শিবির করে এ সন্দেহে কাউকে আটক, তল্লাশী, মারপিট সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডযোগ্য অপরাধ। কাউকে মেরে ফেলা মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধ।
যাদের দায়িত্বহীনতা ও অবহেলার কারণে এসব নির্যাতন অবাধে করা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় হলগুলোর দায়িত্বে থাকা সেই শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও ফৌজদারী মামলা করা যাবে। এধরনের মামলার কোন সময়সীমা নেই।
মনেপ্রাণে আশা করি, যারা অন্যায় মারের শিকার হচ্ছেন তারা শুধু নির্যাতকদের নয়, এদের সমর্থক শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও একদিন মামলা করার সুযোগ পাবেন। ১০-২০ বছর পর হলেও।