1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩৮ অপরাহ্ন

গুপ্তধনের সন্ধানে

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২০
  • ৬৩৭ বার

গাজার উপকূলের কাছে বিশ্বের প্রাচীনতম কিছু মুদ্রা খুঁজে পেয়েছিলেন কয়েকজন জেলে। মুদ্রা বিশেষজ্ঞ ড. উটে ওর্টেনবার্গ বলছেন, ‘এটা ছিল একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধান এবং আলেকজান্ডার দি গ্রেটের মুদ্রা ডেকাড্রাকমার সবচেয়ে বেশি নিদর্শন সেখানে ছিল।’

বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়- ২০১৭ সালের বসন্তে সমুদ্র থেকে এই মুদ্রাগুলো তুলে আনার আগে পর্যন্ত পাওয়া প্রতিটি আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের ডেকাড্রাকমা (আলেকজান্ডারের টাকা) মুদ্রার, যা আনুষ্ঠানিকভাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, সেগুলোর তথ্য তার সংগ্রহে রয়েছে।

গাজার প্রত্নতত্ত্ববিদ ফাদেল আলাটোল বলেন, ‘যখন আমি একটি হাতে তুলে নিলাম, আমি হতভম্ব আর অভিভূত হয়ে গিয়েছিলাম’।

তিনি প্রথম সনাক্ত করেন যে, এসব মুদ্রা ২৩০০ বছর পুরনো মেসিডোনিয়ান শাসক আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের ডেকাড্রাকমা মুদ্রা। গ্রীস থেকে ভারত পর্যন্ত রাজত্ব ছড়িয়ে নিয়েছিলেন আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট। মিশর অভিযানের সময় রক্তাক্ত অবরোধের পর তিনি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ গাজা দখল করে নিয়েছিলেন।

মুদ্রা নিখোঁজ

ফাদেল আলাটোল মুদ্রাগুলো শনাক্ত করার পর সেগুলো নিখোঁজ হয়ে যায়, ধারণা করা হয় সেগুলো বিক্রি করে দেয়া হয়।

এগুলো এমন সব মানুষের হাতে রয়েছে, যারা জানে না যে, এগুলো কী? কেন সেগুলো এখানে এসেছে এবং আমাদের দেশের জন্য কী গুরুত্ব বহন করে। এটা খুবই কষ্টদায়ক, তিনি বলছেন।

কয়েকমাস পরে একই ধরণের মুদ্রা বিশ্বের বিভিন্ন নিলাম কেন্দ্রে বিক্রির জন্য উঠতে শুরু করে।

লন্ডনের একটি নিলাম প্রতিষ্ঠান রোমা নিউমিসমেটিক্সে একটি আলেকজান্ডার ডেকাড্রাকমা বিক্রি হয়েছে এক লক্ষ পাউন্ডে (এক লক্ষ ত্রিশ হাজার ডলার)।

পরবর্তী দুই বছরে এ ধরণের ১৯টি মুদ্রা বাজারে ওঠে। এর মধ্যে ১১টি মুদ্রা বিক্রি করে রোমা নিউমিসমেটিক্স। গাজা উপকূলে মুদ্রাগুলো খুঁজে পাওয়ার আগে পর্যন্ত আলেকজান্ডারের এই মুদ্রার ব্যাপারে রেকর্ড বা বিক্রির কোন তালিকায় যে সংখ্যা জানা ছিল, নিলামে বিক্রিত মুদ্রার সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ।

উৎপত্তি

কিন্তু এই দুর্লভ মুদ্রাগুলো কোথা থেকে এসেছে, তার কোন ইতিহাস প্রকাশ করা হয়নি। তাহলে মুদ্রাগুলো এলো কোথা থেকে?

মুদ্রাগুলোর কথিত উৎস সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘ব্যক্তিগত কানাডিয়ান’, ব্যক্তিগত নর্থ আমেরিকান, ব্যক্তিগত ইউরোপিয়ান সংগ্রহ, আমার কাছে যার কোন অর্থ নেই। আপনি কিভাবে এর উৎস যাচাই করবেন?- বলছেন মুদ্রাসংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ থমাস বোওজো।

গাজার অ্যালাটলে তোলা ছবিগুলো তাকে পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি চেষ্টা করেও বিশ্বের নিলাম হাউজগুলোয় তোলা মুদ্রার সঙ্গে তার মিল খুঁজে পেতে ব্যর্থ হন।

তবে উৎস ছাড়া মুদ্রা বিক্রির ব্যাপারটি অবৈধ বা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু অত্যন্ত দুর্লভ মুদ্রার ক্ষেত্রে এরকম ইতিহাস ছাড়া বিক্রির ব্যাপারটি অস্বাভাবিক। কারণ উৎপত্তি বা উৎস সম্পর্কে যাচাই করা সম্ভব না হলে কারো পক্ষে বলা সম্ভব নয় যে, মুদ্রাগুলো কোথা থেকে এসেছে।

হারিয়ে যাওয়া প্রত্নতাত্ত্বিক জিনিস খুঁজে বের করায় বিশেষজ্ঞ জেমস র‍্যাটক্লিফ বিবিসি নিউজ অ্যারাবিককে বলেছেন, ‘আমি যদি জিনিসগুলো কিনতে চাইতাম, তাহলে আমি অবশ্যই নির্দিষ্ট করে জানতে চাইতাম যে এগুলোর ডিলার কে, কোথা থেকে এবং কখন এগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে এবং সেগুলোর সম্পর্কে আর কী তথ্য দেয়া হয়েছে।’

বিক্রির আইন

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং বেশিরভাগ ইউরোপিয়ান দেশে বিরল পুরাতত্ত্ব বিক্রি বেআইনি, যদি সেগুলো সম্পর্কে কোনো তথ্য না থাকে, অথবা সন্দেহ করা হয় যে, এগুলো নতুন আবিষ্কৃত এবং নথিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ১৯৭৩ সালের আগে পর্যন্ত এই আলেকজান্ডার ডেকাড্রাকমাগুলো সম্পর্কে কোন তথ্য কোথাও পাওয়া যায়নি।

কিন্তু যে মুদ্রাগুলো নিলামে বিক্রি করা হচ্ছে, সেগুলো হয়তো আইনটি জারির আগেই সংগ্রহ করা হয়েছিল।। সেক্ষেত্রে আইন ভঙ্গ না করেই সেগুলো কেনা বা বিক্রি করা সম্ভব।

একেকটি মুদ্রা এক লক্ষ্য পাউন্ডে বিক্রি বা মুদ্রার নতুন ভাণ্ডার খুঁজে পাওয়ার খবরে আগে থেকে যাদের কাছে এসব মুদ্রা আছে, তারা হয়তো তাদের মুদ্রাগুলো বাজারে নিয়ে আসতে উৎসাহিত হয়ে উঠতে পারে।

রোমা নিউমিসমেটিক্স এবং অন্য যে সাতটি নিলাম প্রতিষ্ঠান আলেকজান্ডার ডেকাড্রাকমা মুদ্রা বিক্রি করেছে, তাদের কাছে সেগুলোর বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছে বিবিসি। কিন্তু যারা মুদ্রাগুলো বিক্রি করার জন্য নিলাম প্রতিষ্ঠানে নিয়ে এসেছে, তাদের কারো সম্পর্কেই কোন তথ্য দিতে পারেনি কোন নিলাম প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, তারা শুধুমাত্র সেসব তথ্যই জানাতে পারবে, যা তাদের জানানোর অনুমতি দেয়া হয়েছে।

চিহ্নিত সূত্র

বিবিসির তদন্তে ২০১৭’র বসন্তে নিলামে তোলা ১৯টি আলেকজান্ডার ডেকাড্রাকমার মধ্যে ছয়টি চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। ইন্সটাগ্রাম ও ফেসবুকে পেইজ রয়েছে, এমন একজন বিখ্যাত ফিলিস্তিনি মুদ্রা সংগ্রহকারী পরিবার তারেক হানি কালেকশনের কাছে এমন আলেকজান্ডার ডেকাড্রাকমার ছবি দেখা গেছে, যা এর আগে মুদ্রা বিশেষজ্ঞরা দেখেননি।

তাদের সামাজিক মাধ্যমের পাতাতেও, তারেক হানি কালেকশন বলেছে যে, সম্প্রতি নিলামে ওঠা মুদ্রাগুলোর মধ্যে পাঁচটি তাদের- যা ক্লাসিক্যাল নিউমিসমেটিক্স গ্রুপ, নিউমিসমেটিক্স নোউম্যান নোমোস এজি এবং হেরিটেজের মাধ্যমে বিক্রি হয়েছে।

পরিবারটি নথিপত্র দেখিয়েছে যে, এই পাঁচটি মুদ্রা এবং ইরা এন্ড ল্যারি গোল্ডবার্গের মাধ্যমে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিক্রি হওয়া আরেকটি মুদ্রা তাদের সংগ্রহশালায় ছিল।

অর্থোডক্স চার্চ

কাগজপত্রে দেখা যাচ্ছে, ১৯৬৭ সাল থেকে গাজার অর্থোডক্স চার্চের ভল্টে এসব মুদ্রা ছিল। পুরাতত্ত্ব কেনাবেচা সংক্রান্ত বর্তমান আইন জারি হওয়ার আগে থেকেই মুদ্রাগুলো তাদের কাছে ছিল, ফলে এগুলোর কেনাবেচা করতে কোন বাধা নেই।

বাকি থাকে নিলাম প্রতিষ্ঠানগুলোর বিক্রি করা অপর ১৩টি অত্যন্ত দুর্লভ মুদ্রা, যা বিশ্বে ২০১৭ সালের বসন্ত থেকে বিক্রি হয়েছে, কিন্তু প্রকাশে সেগুলোর উৎসব বা ইতিহাস সম্পর্কে কোন তথ্য জানানো হয়নি। গাজার জেলেদের কাছে যে মুদ্রাগুলো পাওয়া গিয়েছিল, ফাদেল অ্যালাটোলের তোলা সেসব ছবির সঙ্গেও নিলামে বিক্রি হওয়া মুদ্রাগুলোর কোনটির মেলাতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা।

তাহলে রোমা নিউমিসমেটিক্স যে ১১টি মুদ্রা আলেকজান্ডার ডেকাড্রাকমা মুদ্রা নিলামে বিক্রি করেছে, সেগুলোর সম্পর্কে কি জানা যাচ্ছে? এসব মুদ্রা কোথা থেকে এসেছে?

এক লক্ষ পাউন্ডের মুদ্রা

২০১৭ সালে একলক্ষ পাউন্ড করে যে মুদ্রাগুলো বিক্রি করে রোমা নিউমিসমেটিক্স, সেই বিক্রি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে পরিচালক রিচার্ড বেয়লের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

তিনি বলেন, ‘প্রাইভেট কানাডিয়ান কালেকশন’ নামে মুদ্রাগুলোর উৎস নথিভুক্ত করা হয়েছিল। বেয়ল ক্যামেরার সামনে সাক্ষাৎকার দিতে রাজি হননি।

মুদ্রার উৎস সম্পর্কে প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই করার কথা নিলাম প্রতিষ্ঠানগুলোর। তবে কোথা থেকে মুদ্রাগুলো এসেছে, সে ব্যাপারে প্রেরকের (কনসিগনর) দেয়া বক্তব্যের ওপরেও তারা অনেক সময় নির্ভর করে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় রোমা নিউমিসমেটিক্সের নিলামের প্রতিটি তালিকায় একটি ‘বিশেষ ধন্যবাদ’ অংশ রয়েছে। সেখানে একটি নাম বারবার দেখা গেছে, তা হলো সালেম আলশাদাইফাত।

জেলেদের যোগাযোগ

গাজার জেলেরা জানিয়েছেন, তারা মুদ্রাগুলো জর্ডানের যে মুদ্রা সংগ্রহকারীর কাছে বিক্রি করেছেন, তার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম ছিলেন আলশাদাইফাত। জেলেরা ফেসবুক থেকে তার একটি ছবি দেখান। তবে গাজার মুদ্রা ভাণ্ডারের সঙ্গে তার কোন সম্পৃক্ততার ব্যাপার যুক্ত করা যায়নি।

আলশাদাইফাত রোমা নিউমিসমেটিক্সের ব্যবসার কোন অংশ নন, কিন্তু রোমার পরিচালক, রিচার্ড বেয়লে হচ্ছেন আলশাদাইফাতের কোম্পানি অ্যাথেনা নিউমিসমেটিক্সের উপ-পরিচালক।

আলশাদাইফাতের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেখা গেছে, আলেকজান্ডার ডেকাড্রাকমার একটি ছবি রয়েছে, যা রোমা নিউমিসমেটিক্স ২০১৮ সালের ২৬শে সেপ্টেম্বর ৪০ হাজার পাউন্ডে বিক্রি করেছে। সেটার বর্ণনা হিসাবে আলশাদাইফাত লিখেছেন ‘আমাদের অংশীদার রোমার সঙ্গে ছয়মাসের চেষ্টা এবং কঠোর পরিশ্রমের পর প্রথমবারের মতো খুবই দুর্লভ গ্রিক নমুনা উপস্থাপন করতে পারছি’।

আলশাদাইফাতের কাছে তিনি কি এক লক্ষ পাউন্ড মূল্যের মুদ্রা বিক্রি অথবা ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরের পর রোমা নিউমিসমেটিক্সের নিলামে তোলা আলেকজান্ডার ডেকাড্রাকমা (আলেকজান্ডারের টাকা) বিক্রির সঙ্গে জড়িত কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, তিনি কোনরকম আলেকজান্ডার ডেকাড্রাকমা বিক্রির সঙ্গে জড়িত নন।

তিনি বলেন, ‘আমার কাছে দুইটি আলেকজান্ডার ডেকাড্রাকমা রয়েছে, যা আমি একজন ডিলারের কাছ থেকে কিনেছি, আমার কাছে সেগুলোর চালান, অর্থ লেনদেনের প্রমাণ রয়েছে। গাজার সঙ্গে এই দুই মুদ্রার কোন সম্পর্ক নেই’।

নিলাম হাউজের জবাব

রোমা নিউমিসমেটিক্সের পরিচালক রিচার্ড বেয়ল বলেন, আমরা সন্তুষ্ট যে, মুদ্রা প্রেরক আমাদের পরিচিত এবং পেশাদারিত্ব ও বিশ্বাসের প্রতিষ্ঠিত রেকর্ড রয়েছে। আমাদের এমন তথ্য দেয়া হয়েছে, যে উৎস দেশ থেকে এসব দ্রব্য এসেছে, তাদের তরফ থেকে কোন আপত্তি করা হয়নি। এই প্রেরকরা নিশ্চিত করেছেন যে, তাদের জানা মতে এসব দ্রব্য কোন অবৈধ অনুসন্ধানের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়নি।

যখন বেয়লের কাছে জানতে চাওয়া হয় যে, কোথা থেকে এবং কখন এসব মুদ্রা পাওয়া গেছে, তিনি জানান, তিনি এটা জানেন না এবং সেটা এই শিল্পে অস্বাভাবিক কোন ব্যাপার নয়।

ক্লাসিক্যাল নিউমিসমেটিক্স গ্রুপ(সিএনজি) মালিকানা ২০১৮ সালে নভেম্বরে বদলে গেছে। নতুন মালিক বলেছেন, এই দুইটি বিক্রির সঙ্গে আমি জড়িত ছিলাম না এবং এ ব্যাপারে বা প্রেরকের ব্যাপারে ব্যক্তিগতভাবে কিছু জানা নেই।

নিলাম প্রতিষ্ঠান হেস ডিভো তাদের মুদ্রা বিক্রির ব্যাপারে বলেছেন, আমি যদি ঠিকভাবে মনে করতে পারি, মুদ্রাগুলোর প্রেরক যুক্তরাজ্যের একজন সম্মানিত সংগ্রহকারী।

নোমোস বলেন, হেস ডিভো বিক্রি করতে ব্যর্থ হওয়ায় মুদ্রা তাদের প্রতিষ্ঠানে এসেছিল। তারা বলছে, আমাদের কোন ধারণা নেই যে, হেস-ডিভোর আগে মুদ্রাগুলো কোথা থেকে এসেছে অথবা এর প্রেরক কে। নীতি অনুযায়ী, আমরা এমন কোন মুদ্রা গ্রহণ করি না, যেটা অন্য নিলাম হাউজে ওঠেনি।

হেরিটেজ বলছে, তাদের মুদ্রাগুলো এই শিল্পে ভালোভাবে পরিচিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে এসেছে, যাদের পণ্যের জন্য সুনাম রয়েছে এবং তাদের সন্দেহ করার মতো কোন প্রমাণ বা কারণ ঘটেনি।

নিউমিসমেটিক নাউম্যান বলেছে, আমাদের কাছে প্রমাণ আছে যে, কয়েক দশক ধরে (!) এসব মুদ্রা সংগ্রহে ছিল। এবং সবশেষে, ইরা এন্ড ল্যারি গোল্ডবার্গ এবং শুলম্যান বি.ভি. মন্তব্যের জন্য কোন জবাব দেয়নি।

যে বিশেষজ্ঞ অথবা ইতিহাসবিদদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় তাদের কেউ জেলেদের খুঁজে পাওয়া মুদ্রাগুলোর সঙ্গে বিশ্বব্যাপী যে নিলাম প্রতিষ্ঠানগুলোয় আলেকজান্ডার ডেকাড্রাকমা বিক্রি হয়েছে, তার সঙ্গে মিল খুঁজে পাননি।

মুদ্রা শিল্পে বর্তমান যে আইন এবং বিধিবিধান চালু রয়ছে, তাতে কোন মুদ্রার ইতিহাস খুঁজে বের করা রীতিমতো কঠিন। ফলে প্রাচীন যুগে সেগুলোর অবস্থান নির্ণয় করাও কঠিন।

হারানো ইতিহাস

নতুন বিধিবিধান চালুর আহ্বান সত্বেও, নিলাম প্রতিষ্ঠান এবং মুদ্রা প্রেরকদের ক্ষেত্রে তাদের বিক্রি করা মুদ্রার উৎস জানাতে কোন বাধ্যবাধকতা নেই। আসলে তথ্য সুরক্ষা আইন তথ্য বিনিময় করা থেকেই তাদের প্রতিরোধ করছে।

সাম্প্রতিক কয়েকটি নিলামে যেসব মুদ্রার তথ্য এসেছে, শুধু সেগুলো নিয়েই অনুসন্ধান করতে পেরেছে বিবিসি। কিন্তু গাজার মুদ্রা ভাণ্ডারের কি হয়েছে, তা হয়তো কখনোই জানা যাবে না।

 

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog