1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫৬ অপরাহ্ন

তৃষ্ণায় বিউটি লাচ্ছি ও ফালুদা

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১১ মার্চ, ২০২০
  • ১৭৭১ বার

এই ব্যাস্ত ঢাকার অচেনা-অজানা রয়েছে হাজার হাজার গলি। এক এক গলিতে দেখা যায় নানা ধরনের পানীয়। কোন গলিতে লাচ্ছি আবার কোন গলিতে কাচ্চি। পুরান ঢাকার বিভিন্ন গলিতে নানা ধরনের বাহারী খাবার পাওয়া যায়। যা যুগ যুগ থেকে মানুষের তৃপ্তি ও তৃষ্ণা মিটিয়ে আসছে। লাচ্ছি ও ফালুদার জন্য বিখ্যাত পুরান ঢাকার বিউটি লাচ্ছি ও ফালুদা। পুরান ঢাকার এই দোকানের কথা কে না জানে? শরবতের দোকান।

বিউটি লাচ্চি ও ফালুদা প্রায় ১০০ বছর ধরে জনসন রোডে নাম-ডাকের সঙ্গে মানুষের তৃষ্ণা মিটিয়ে আসছে এই লাচ্ছি ও ফালুদা। লাচ্ছি দই হতে প্রস্তুতকৃত এক ধরনের সুস্বাদু পানীয়। দইয়ের সাথে চিনির সিরা, বিট লবণ ও নানা ধরনের মসলাপাতি যোগ করে ব্লেন্ড করে লাচ্ছি তৈরি করা হয়।

ফালুদার উৎপত্তি মূলত দক্ষিন এশিয়ায়।লাচ্ছি হচ্ছে শীতল খাবার যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহে জনপ্রিয়। ঐতিহ্যগতভাবে গোলাপ জল, সেমাই বা নুডলস, মিষ্টি বেসিল বীজ, জেলির টুকরো, দুধ এর মিশ্রণে তৈরী করা হয় এবং উপরে উপরে আইস ক্রিম দেওয়া হয়।ফালুদায় ব্যবহৃত সেমাই তৈরী হয় গম,অ্যারারূট, ভূট্টা বা সাগু থেকে তৈরী হয়।ফালুদার সঙ্গে পারস্যের গল্প জড়িয়ে আছে সেখানে ফালুদেহ নামে একটি ডেজার্ট জনপ্রিয়। ভারতে আগত মুসলিম বণিক, শাসকদের হাত ধরে ভারতবর্ষে এর আগমন ঘটে সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়ে বর্তমান রূপ ধারণ করেছে।

বাংলাদেশ সহ নেপাল,ভারত,পাকিস্তান সহ অনেক জায়গার এই খাবারের প্রচলন আছে। পুরনো ঢাকায় প্রাচীণ এবং নামকরা লাচ্ছির দোকানের মধ্যে অন্যতম হল, চক বাজারস্থ নূরানী লাচ্ছি, বর্তমানে এ দোকানের নাম নূরানী কোল্ড ড্রিংকস এবং রায় সাহেব বাজারের বিউটি লাচ্ছি।

পুরান ঢাকায় মানুষ সহ বিভিন্ন ভোজনরসিকেরা এখানে ছুটে আসেন। রাস্তা থেকে শরবত লাচ্ছি বিক্রি করে বর্তমানে ৩টি দোকান গড়ে তুলেছে তারা। পুরান ঢাকার নাজিরা বাজার, রায়সাহেব বাজার এবং লালবাগে রয়েছে বিউটি লাচ্ছি ও শরবতের দোকান। লাচ্ছি ফালুদা এবং লেবু পানিও এখানে পাওয়া যায়। লাচ্চির দাম ৪০ টাকা ফালুদা এক দামের, আবার স্পেশাল ফালুদার দাম তার থেকে কিছুটা বেশি(৭০-৯০)। লেবুর শরবত চিনি ছাড়া এবং চিনি সহ গ্লাসে ও পলিথিনের প্যাকেটে দুইভাবেই পাওয়া যায়(২০)। বিকেল থেকে পাওয়া যায় ১০ টাকা প্রতিপিছ পুরি।

মিরপুর থেকে আসা আসিফ আহমেদ বলেন,এখানকার সকল খাবারের স্বাদ অতুলনীয়।লাচ্ছি ও ফালুদায় প্রান জুড়ায়। আমি প্রায় প্রায় এখানে আসি।

বিক্রেতা বলেন,বেচাকেনা শীতকালে একটু কম আর গরম কালে বেশি হয়।বাব দাদায় দোকান করছে আমিও করতাছি। সব কিছুর দাম বাড়ছে-আমাদেরও দাম বাড়ায়ছি।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog