রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামি ২৯ নভেম্বর যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। আনুষ্ঠানিকভাবে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর থেকে এর বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটি দুটি ভাগে বাস্তবায়ন করা হবে। একটি পশ্চিমাঞ্চল অর্থাৎ সিরাজগঞ্জ অঞ্চল এবং অপরটি টাঙ্গাইল অঞ্চলে। দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। ২০২৫ সালের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
বুধবার (২৮ অক্টোবর) সকালে বঙ্গবন্ধু রেলসেতু নির্মাণের ভিত্তিফলক স্থাপনের স্থান পরিদর্শন শেষে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এতে ব্যয় হবে ১৬ হাজার কোটি টাকা। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে এ সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হবে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ৪৩১ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতুর সঙ্গে যেভাবে ট্রেন চলাচল করছে, তাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ভারসাম্যপূর্ণ রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন তার সঙ্গে কাজ করছে না।
বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে মাত্র ২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করছে। আমরা মাত্র ৪৪টি ট্রেন পারাপার করতে পারলেও কনটেইনার ও মালামাল পরিবহন করতে পারছি না। এসব কারণে বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে ডেডিকেটেড ডাবল লেনের রেলসেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। এটা নির্মাণ হলে দু’টি ট্রেন একসঙ্গে যেতে পারবে এবং ১০০ কিলোমিটার বেড়ে সেতুটি অতিক্রম করতে পারবে। এ ছাড়া জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরর্দী পর্যন্ত ডাবল রেল লাইনের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বলেও মন্ত্রী জানান।
তিনি বলেন, আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু জাপানের অর্থায়নে এ প্রকল্পটি জাইকা বাস্তবায়ন করছে। টেন্ডারসহ সমস্ত প্রক্রিয়া আমরা সম্পন্ন করেছি। প্রধানমন্ত্রী ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর আনুষ্ঠানিকভাবে এর কাজ শুরু করা হবে।
এ সময় রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা, রেলওয়ের মহাপরিচালক শামছুজ্জামান, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ, প্রধান প্রকৌশলী আল ফাত্তাহ মাসুদুর রহমান, রাজশাহী রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক সাইদুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর প্রকল্প পরিচালক (পিডি) কামারুল আহসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।