ভোট গণনা বন্ধের দাবি জানিয়ে মামলা করেছে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচন শিবির। পেনসিলভানিয়া, মিশিগান ও জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে এ মামলা করা হয়। আগে উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে ভোট পুনঃগণনার দাবি তুলেছিল ট্রাম্পের নির্বাচন কর্মীরা। কিন্তু সেখানে মামলা করা হয়নি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট শেষ হওয়ার পর গণনা বন্ধে তিনটি অঙ্গরাজ্যে মামলা করেছে ট্রাম্প শিবির। পেনসিলভানিয়া, মিশিগান ও জর্জিয়াতে মামলার আগে মিশিগানে ভোট গণনা বন্ধের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দেয় ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার শিবির।
এক বিবৃতিতে ট্রাম্প শিবিরের ব্যবস্থাপক বিল স্টেপিন বলেন, মিশিগানের আইন অনুযায়ী ভোট গণনার নির্ধারিত জায়গায় ট্রাম্পের লোকজনকে উপস্থিত থাকার সুযোগ দেওয়া হয়নি। সে কারণে তাদের পক্ষে ব্যালট পেপার খোলা ও ভোট গণনার প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ সম্ভব হয়নি।
এদিকে ভোট গণনা নিয়ে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার নির্বাচনী প্রচারের দায়িত্বে থাকা সংগঠন যখন লাগাতার প্রশ্ন তুলে যাচ্ছিলেন, ঠিক সেইসময়ই তাকে বড় ধাক্কা দেন বাইডেন। ২০১৬ সালে ট্রাম্পের জেতা উইসকনসিন এবং মিশিগানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন তিনি।
উইসকনসিনে বাইডেন পেয়েছেন ১৬ লাখ ৩০ হাজার ৩৮৯ ভোট। মিশিগানে পেয়েছেন ২৬ লাখ ৮৪ হাজার ২০০ ভোট। অপরদিকে উইসকনসিনে ট্রাম্প পেয়েছেন ২৬ লাখ ১৭ হাজার ৬০ ভোট, মিশিগানে পেয়েছেন ১৬ লাখ ৯ হাজার ৮৭৯ ভোট।
উইসকনসিনে ১০ আর মিশিগানের ১৬টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট নিয়ে বাইডেনের বর্তমান ভোট সংখ্যা ২৬৪টি। ট্রাম্প এখন পর্যন্ত পেয়েছেন ২১৪ ভোট। মোট ৫৩৮ ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে প্রেসিডেন্ট হতে প্রয়োজন ২৭০ ভোট।
জো বাইডেন এ পর্যন্ত ভোট পেয়েছেন ৭১ মিলিয়নের বেশি, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। আর ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ৬৪ মিলিয়নের বেশি ভোট।
এখন পর্যন্ত বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাওয়া খবরে জানা যায়, ফলাফল বাকি আছে আরও পাঁচটি রাজ্যে। সেগুলো হলো- জর্জিয়া ১৬টি, আলাস্কা ৩টি, নেভাদা ৬টি, নর্থ ক্যারোলাইনা ১৫টি এবং পেনসিলভানিয়া ২০টি।