রোববার নির্বাচন শেষে মিয়ানমারে ভোট গণনা চলছে। এতে হেসে খেলে অং সান সুচি বিজয়ী হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। নির্বাচনের ফল মেনে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সেনাপ্রধান। এ খবর দিয়ে অনলাইন বিবিসি ও ইরাবতী বলছে, ২০১১ সালে মিয়ানমারে সামরিক জান্তার শাসন শেষ হওয়ার পর এটা সেখানে দ্বিতীয় জাতীয় নির্বাচন।
এতে লাখ লাখ মানুষ ভোট দিয়েছে। গত নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় পান অং সান সুচি। এরপরই তিনি সেনাবাহিনীর সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির মাধ্যমে ক্ষমতার অংশীদার হন। উল্লেখ্য, এর ফলে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বিপুল ক্ষমতার অধিকারী হয়।
রোববার ভোট হলেও আজ আরও পরে সেখানে ফল ঘোষণা হতে পারে। রোববার দিনশেষে অং সান সুচির রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির প্রধান কার্যালয়ের সামনে ভিড় করতে থাকেন কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক। এ সময় তারা নানা রকম স্লোগান দেন। দেশে অং সান সুচির জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও এক সময়ে বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের আইকন হিসেবে পরিচিতি পাওয়া এই নেত্রীর আন্তর্জাতিক মর্যাদায় নাটকীয় পতন ঘটে। রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলায় তিনি যে অবস্থান নিয়েছেন সে জন্য সারা বিশ্ব থেকে তার প্রতি নিন্দা ও ঘৃণা জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ শে মার্চ থেকে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নতুন করে নৃশংসতা শুরু করে মিয়ানমারের সেননাবাহিনী। গণধর্ষণ, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, নির্যাতন সহ এমন অপকর্ম নেই যা তারা করেনি। এর ফলে বাধ্য হয়ে রোহিঙ্গারা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। এ নিয়ে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে মামলা হয়েছে। সেই মামলায় সেনাবাহিনীর হয়ে সাফাই গেয়েছেন অং সান সুচি। বিশ্ব অবাক হয়ে দেখেছে কিভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, আন্তর্জাতিকভাবে মানবাধিকারের একজন চ্যাম্পিয়ন তার নিজের মর্যাদাকে মাটিতে লুটিয়ে দিয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষে, অন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতে পারেন।