সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিহত রায়হান আহমদ হত্যা মামলায় এস আই আকবর হোসেন ভুইয়ার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা দেড়টায় তাকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আবুল কাশেমের আদালতে হাজির করে তাকে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই’র পরিদর্শক আওলাদ হোসেন। আদালত তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে আদালতে পেশকার মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন।
এ মামলায় সোমবার রাতে তাকে গ্রেফতার দেখায় পিবিআই।
এর আগে এস আই আকবর হোসেনকে ভুইয়াকে কড়া নিরাপত্তায় পিবিআই কার্যালয় হতে আদালতে আনা হয়। তাকে আদালতে তোলা হচ্ছে-এমন খবর পেয়ে বিপুল সংখ্যক লোক আদালতের বাইরে বিক্ষোভ করেন। পাশাপাশি আদালতের প্রবেশদ্বারেও বিক্ষুব্ধ লোকজন অবরোধের সৃষ্টি হয়। এ কারণে রাস্তায় তীব্র যানজট দেখা দেয়।
সিলেট জেলা পুলিশ সোমবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে আকবরকে পিবিআই কাছে হস্তান্তর করে। ওইদিন রাতেই পিবিআই তাদের কার্যালয়ে আকবরকে কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ অক্টোবর দিবাগত রাত তিনটার দিকে রায়হানকে কতোয়ালি থানার বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনে রায়হান মারা যান। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী তাহমিনা আক্তার পরদিন হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন। মামলায় আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি। মামলার পর মহানগর পুলিশের একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে ওই ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন সহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করে। আকবর ১৩ অক্টোবর থেকে পলাতক আছেন। রায়হান হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত এএসআই আশেক এলাহীকে ৫ দিনের এবং কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাশ ও হারুনুর রশীদকে দুই দফায় ৮ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পিবিআই। এছাড়া, আকবরকে পালাতে সহযোগিতা করায় বন্দরবাজার ফাঁড়ির টুআইসি এস আই হাসানকেও বরখাস্ত করা হয়।
রায়হান নগরীর একটি রোগ নির্ণয় কেন্দ্রে চাকরি করতেন। তিনি স্ত্রী, আড়াই মাস বয়সী এক মেয়ে ও মাসহ আখালিয়ার নিহারিপাড়ায় বসবাস করতেন। পুলিশ হেফাজতে তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় ‘বৃহত্তর আখালিয়া সংগ্রাম পরিষদ’ নামে এলাকাবাসীর সম্মিলিত মোর্চা প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে তৎপর। এসআই আকবরসহ জড়িত সবাইকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন চলছে।