শিক্ষক-কর্মকর্তারা গৃহ ঋণের আওতায় আসছেন। গত বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) এ-সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
তবে চারটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা এ গৃহ ঋণের আওতায় আসছেন। তার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) এ-সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
অর্থ বিভাগের গৃহ ঋণ সেল থেকে জানা যায়, চারটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং কর্মকর্তারা রাষ্ট্রের মালিকানাধীন ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে গৃহ ঋণ সুবিধা পাবেন। স্বল্প সুদে ঋণ পাওয়ায় তারা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। গত বৃহস্পতিবার ঢাবি ও শাবিপ্রবির সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে রূপালী ব্যাংক ও হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের সঙ্গে চবির চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ সময় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র অর্থ সচিব আবুল রউফ তালুকদার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ফলে শিক্ষকরা সর্বনিম্ন ৩৫ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহ ঋণ নিতে পারবেন। সর্বোচ্চ ২০ বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে এ কার্যক্রম শুরু করতে কিছুটা বিলম্ব হলেও পর্যায়ক্রমে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে গৃহ ঋণের আওতায় আনা হবে।
এ বিষয়ে শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এর ফলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য স্বল্প সুদে ফ্ল্যাট কেনার সুযোগ তৈরি হয়েছে। শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে বর্তমান সরকার এটি বাস্তবায়ন করেছে।’
তিনি বলেন, শহরের চেয়ে মফস্বলের শিক্ষকরা ছোট শহরগুলোতে ঋণ নিয়ে ভালোমানের ফ্ল্যাট কেনার সুযোগ পাবেন। এতে শিক্ষকদের নিজ বাড়িতে থাকার নিশ্চয়তা তৈরি হবে। সহজ শর্তে ঋণ গ্রহণ ও পরিশোধের সুযোগ পাবেন শিক্ষকরা। চাকরি জীবন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত মাসিক বেতন থেকে এ ঋণ পরিশোধ করা যাবে।
ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের গৃহ ঋণ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী তারা ঋণ নিয়ে নিজের বাসস্থান বা ফ্ল্যাট কেনার সুযোগ পাবেন। যারা আগ্রহী হবেন তারা এখন থেকে ঋণ সুবিধা নিতে পারবেন।