আগামী জুলাই থেকে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায় শুরু করতে পারে সড়ক কর্তৃপক্ষ। রোববার এ সংক্রান্ত এক সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সভায় অংশ নেওয়া চার সদস্য।এর পাশাপাশি উক্ত সভায় এই এক্সপ্রেসওয়ের টোল হার নির্ধারণে গঠিত কমিটির প্রস্তাবিত টোলের হার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ গ্রহণ করেছে বলেও জানিয়েছেন তারা।
প্রস্তাব অনুযায়ী দুই অ্যাক্সেলের একটি ট্রাকের ভিত্তি টোল হতে পারে কিলোমিটার প্রতি ৯ দশমিক ৯ টাকা। এর ফলে ৫৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করলে একটি ট্রাককে টোল দিতে হবে ৫৪৪ টাকা। বাসের জন্যে টোল ধরা হতে পারে ৪৯০ টাকা ও (সেডান) গাড়ির টোল হতে পারে ১৩৬ টাকা। দেশের প্রথম এই এক্সপ্রেসওয়েতে ঢোকা ও বের হওয়ার জন্যে চারটি পথ থাকবে। এক্সপ্রেসওয়ের যে গাড়ি যে জায়গা থেকে বের হবে সে অনুযায়ী গাড়ির টোল নেওয়া হবে।
২০১৪ সালের টোল নীতিমালা অনুযায়ী সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) পূর্বে যে টোল প্রস্তাব করেছিল নতুন এ টোলের হার তার অর্ধেক।
বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেছেন, অন্তর্বতী সময়ের জন্যে টোলের এই হার ধার্য করা হয়েছে। পদ্মাসেতু খুলে দেওয়ার পর টোলের হার আবার ধার্য করা হবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এই প্রস্তাব অনুমোদনের পর তা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পদ্মাসেতু যান চলাচলের জন্যে খুলে দেওয়া হলে এক্সপ্রেসওয়ে থেকে টোল আদায় শুরু করা হবে। এক্সপ্রেসওয়ে ছাড়াও পদ্মাসেতু পার হওয়ার জন্যে আলাদা টোল দিতে হবে। ২০২২ সালের জুনের মধ্যে পদ্মাসেতু যান চলাচলের জন্যে খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে।