1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন

ক্রেতা নেই বইমেলায়: স্টল ব্যয়ও তুলতে পারছে না প্রকাশনীগুলো

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২১
  • ১৫২ বার

কঠোর লকডাউনের আগেই ১২ এপ্রিল বন্ধ হওয়ার কথা অমর একুশে বইমেলা। তবে শেষ সময়ে এসে হিসেবের খাতায় বইমেলার স্টল নির্মাণ খরচও তুলতে পারছেন না অধিকাংশ প্রকাশনী।

প্রকাশকরা বলছেন, এবারের বইমেলা একদিকে যেমন অসময়ে শুরু হয়েছে, অন্যদিকে লকডাউনের কারণে অনেকে ঘরবন্দী জীবন অতিবাহিত করছেন, আবার কেউ ঢাকা ছেড়েছেন। সবমিলিয়ে বইমেলায় এবারে ক্রেতাসমাগম কম। প্রতিবছর বইমেলায় যে পরিমাণ বিক্রি হয়, এবারের মেলায় তার ২৫ শতাংশও বিক্রি হয়নি।

তারা বলছেন, প্রতিদিন যে পরিমাণ বিক্রি হয়, তা দিয়ে বিক্রয় প্রতিনিধিধের লাঞ্চ ও তাদের বেতন দেওয়ার টাকাই আসে না। স্টল নির্মাণের খরচ পুরোটাই লোকসানের খাতায়।

সরজমিনে দেখা গেছে, এবারের বইমেলায় শুরু থেকেই ক্রেতা-দর্শনার্থীদের সমাগম অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক কম। পরে গত সোমবার দেশব্যাপী লকডাউন শুরু হলে মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ধস নামে।

লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে ১৩৫টি স্টলের মধ্যে আজ স্টল খোলা ছিল মাত্র ১২টি। তারা বলছেন, আমাদের স্টলগুলো এমন এক স্থানে দেয়া হয়েছে যেখানে মানুষ বই কিনতে তো দূরের কথা, বই দেখতেও আসে না।

বইমেলায় সবচেয়ে বেশি ক্রেতাসমাগম দেখা গেছে তাম্রলিপি ও প্রথমা প্রকাশনীতে। সর্বাধিক বই বিক্রয়কারী এই দুই প্রকাশনীর প্রকাশক ও বিক্রয় কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিক্রি কিছুটা হলেও তা সন্তোষজনক নয়।

তাম্রলিপির প্রকাশক তারিকুল ইসলাম রনি বলেন, তাদের বিক্রি ভালো হলেও তা সন্তোষজনক নয়। তিনি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর লোকসান কমাতে বই কিনে বিভিন্ন স্কুল কলেজে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রথমা প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী সোহাগ বলেন, অন্যান্য বছর মেলার শেষ দিকে ক্রেতার বাড়তি চাপ থাকে স্টলগুলোতে। কিন্তু এবার শেষ মুহূর্তেও মেলা কেমন যেন খাপছাড়া।

কাকলী প্রকাশনীর ম্যানেজার রেজাউল করিম বলেন, প্যাভিলিয়ন নির্মাণ করতে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত চার লাখ টাকাও বিক্রি করতে পারিনি। প্রতিদিন বিক্রয় প্রতিনিধির খরচ তো আছেই।

শব্দশৈলী প্রকাশনীর ম্যানেজার সুদেব চন্দ্র বলেন, অন্যান্য বছর যেখানে দিনে ৪০ থেকে ৫০ হাজর টাকা বিক্রি হতো, সেখানে এবার প্রতিদিন গড়ে ১৫শ’ থেকে দুই হাজার টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। প্রথম দিকে বিক্রয় প্রতিনিধি ছিল সাত জন, এখন তা কমিয়ে তিন জন করা হয়েছে। তিনজন লোকের লাঞ্চ করতে ৫০০ টাকার মতো প্রয়োজন হয়, কিন্তু লাঞ্চের সময় পর্যন্ত ৫০০ টাকাও বিক্রি করতে পারি না।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog