মধ্য রাতে গুড়ি গুড়ি বৃস্টির মধ্যে হঠাৎ করে পাখির কলরব। সড়কের উপর ঝোলানো তারে আর কাঁঠাল গাছে শতাধিক চুড়ুই পাখির কলরবে মুখতির পুরো এলাকা। যা এখন আর তেমন একটা দেখতে পাওয়া যায় না। আর এমন ঘটনা দেখা মিলল গোপালগঞ্জ জেলা শহরের ডিসি রোড এলাকায়।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টায় প্রকৃতির ধারায় চলছে বৃস্টি। একদিকে লকডাউন অন্য দিকে বৃস্টি হওয়ায় কোলাহল পূর্ণ শহর ছিল একেবারে নিশ্চুপ।
কিন্তু বৃষ্টির মাঝেই হঠাৎ করে চুড়ুই পাখির কিচির মিচির শব্দে পরিপূর্ণ হয়ে উঠলো নিশ্চুপ শহর আর প্রকৃতি ও পরিবেশ।
গভীর রাতে জ্বলে থাকা ল্যাস্পপোষ্টের তারে, সড়কের উপর ঝুলে থাকা তারে আর পাশের কাঁঠাল গাছে বসে রয়েছে শতাধিক চুড়ুই পাখি। এর মধ্যে কোন পাখি নিশ্চুপ ভাবে বৃষ্টিতে ভিজছে আবার কোন পাখি এ তার থেকে ও তার বা কাঁঠাল গাছে উড়াউড়ি করছে।
তবে করোনাকালীর সময়ের আগে এমন দৃশ্য চোখ পড়া চিল কল্পনাতীত। তবে করোনার পর থেকে প্রকৃতির পাশাপশি যেন জেগে উঠেছে প্রাণীকূলও। পরিবেশ ও বাতাস দূষণমুক্ত হওয়ায় শুধু দিনের বেলাই নয় রাতের বেলাও চলেছে পাখিদের উড়াউড়ি আর কিচির মিচির শব্দে ডাকাডাকি। যা এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের সৃষ্টি করছে।
ডিসি রোড এলাকার বাসিন্দা সম্পা সাহা বলেন, রাতের কাজ শেষে ঘুমাতে যাবো এসময় সময় পাখির কিচির মিচির শব্দ শুনতে পেলাম। বেলকনিতে গিয়ে দেখি তারে আর পাশের কাঁঠাল গাছে বসে রয়েছে শতাধিক চুঁড়ুই পাখি। এমন দৃশ্য দেখে খুবই ভাল লাগেছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, কল কারখানার ধোয়া, কয়লা পোড়ানো ধোয়াও যত্রতত্র গাড়ির হর্ণ বাজানোর কারণে পরিবেশ যেমন দূষণ হয় তেমনি শব্দ দূষণও হয়।
এতে প্রকিতির নিজস্বধারা ব্যহত হয়। তবে করোনাকলীন সময়ে সব কিছু বন্ধ থাকায় পরিবেশ দূষণমুক্ত হওয়ায় প্রকৃতির পাশাপশি প্রাণী ও পক্ষীকুলও তাদের নিজস্বধারা ফিরে পেয়েছে। এতে এখন শুধু দিন নয় রাতের বেলাও পাখিদের কলকাকলিতেও মুখোরিত হয়ে উঠছে পরিবেশ।