ওয়ান প্লানেট সামিটে যোগ দিতে আজ সোমবার সকালে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্যারিসের এলিসি প্রাসাদে ১২ ডিসেম্বর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গীদের নিয়ে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সোমবার সকালে হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্যারিসের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে।
বিমানবন্দরে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, জাতীয় সংসদের প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধান এবং ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে এসময় বিদায় জানান।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইটটির দুবাই হয়ে চার্লস ডি গৌল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
প্যারিসে নিযুক্ত বাংলদেশের রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন। এরপর বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীকে মোটর শোভাযাত্রাসহ ইন্টারকন্টিনেন্টাল প্যারিস লা গ্রান্ড (অপেরা) হোটেলে নিয়ে যাওয়া হবে। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী এই হোটেলে অবস্থান করবেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী লা সাইন মিউজিক্যালে ওয়ান প্লানেট সামিটের উচ্চ পর্যায়ের এক অধিবেশনে যোগ দেবেন। এরপর সামিট থেকে ফিরে প্রধানমন্ত্রী ইন্টারকন্টিনেন্টাল প্যারিস লা গ্রান্ডে (অপেরা) বাংলাদেশিদের এক অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন।
সরকারি সূত্র জানায়, সফরকালে প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার সকালে এলিসি প্রাসাদে ফরাসি প্রধানমন্ত্রী ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়া তিনি সামিট উপলক্ষে আগত বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান, সহ আয়োজক এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সম্মানে একই স্থানে ফরাসি প্রেসিডেন্টের দেওয়া এক মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেবেন।
এরপর প্রধানমন্ত্রী বুধবার সন্ধ্যায় প্যারিস ত্যাগ করবেন এবং বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকায় ফিরবেন।
উল্লেখ্য, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিং ও জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই সামিট আহ্বান করেন। প্যারিস চুক্তির দুই বছর পর পৃথিবী নামক এই গ্রহের পরিবেশগত জরুরি সংকট মোকাবেলা নিয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যে তারা আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দ ও বিশ্বের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নাগরিকদের এই সম্মেলনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আমাদের অভিন্ন প্রচেষ্টা এগিয়ে নিতে সরকারি ও বেসরকারি অর্থায়ন কীভাবে কাজ করা যায় তা নির্ধারণ এই সম্মেলনের মূল বিষয় হিসেবে তুলে ধরা হবে।