চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের সাথে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চরমপন্থী সংগঠন জনযুদ্ধের শীর্ষ নেতা কেতু(৩৪) নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ওসিসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের ভালাইপুর কবরস্থান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত কেতু চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আকুন্দবাড়িয়া গ্রামের শওকত আলীর ছেলে।
পুলিশের দাবি, প্রায় আধা ঘণ্টা বন্দুকযুদ্ধের একপর্যায়ে পিছু হটে সন্ত্রাসীরা। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ হেফাজতে থাকা কেতুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। একই সাথে উদ্ধার করা হয় সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া ১টি দেশীয় রিভলবার, ২ রাউন্ড কার্তুজ, ৬টি বোমা ও ৬টি ধারালো হাসুয়া।
পুলিশ জানায়, চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের মোস্ট ওয়ানটেড তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও চরমপন্থী সংগঠন জনযুদ্ধের শীর্ষ নেতা কেতুকে মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের একটি দল। সন্ধ্যায় তাকে ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গাতে আনা হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি (অপারেশন) আমির আব্বাস জানান, চুয়াডাঙ্গা সদর থানাতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে কেতু তার অস্ত্র ভাণ্ডারের সন্ধান দেয়। তার দেওয়া তথ্য মতে পুলিশের একটি দল বুধবার ভোররাতে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে বের হয়। পুলিশের দাবি কেতুকে নিয়ে পুলিশের দলটি রাত ২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদাহ সড়কের ভালাইপুর মোড়ের একটি কবরস্থানের কাছে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা কেতুর সহযোগীরা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বন্দুকযুদ্ধ।
পুলিশ আহত কেতুকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আওয়ালিয়ার রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আহসান হাবীবের দাবি, নিহত কেতু চরমপন্থী সংগঠন জনযুদ্ধের শীর্ষ নেতা। তার বিরুদ্ধে তিনটি হত্যাসহ ৬টি মামলা রয়েছে।