মুখের দুর্গন্ধে কমবেশি অনেকেই ভোগেন। কিন্তু অনেকেই লজ্জায় এটি বলতেও চান না। প্রিয়জন, বন্ধুর সঙ্গে কথা বলার সময় আপনার দাঁত ও মুখ অনেক বেশি গুরুত্ব পায়। মুখের দুর্গন্ধ আপনাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দিতে পারে। এ জন্য কমে যেতে পারে সমাজে আপনার মেলামেশা, গ্রহণযোগ্যতা। আপনি আক্রান্ত হতে পারেন হীনমন্যতা বা বিষণ্নতায়।
আমরা অনেকেই মুখের দুর্গন্ধের শিকার। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন কেন মুখ থেকে এমন বাজে গন্ধ হয়? আসলে মুখ গহ্বরে বাসা বেঁধে থাকা হাজারো জীবাণু এই সমস্যার জন্য দায়ী। প্রধানত মুখের খাদ্যকণা থেকে বিপাকীয় পদ্ধতিতে নির্গত জীবাণুগুলো থেকে অ্যামাইনো অ্যাসিড তৈরি হয়, যা এই দুর্গন্ধের জন্য দায়ী।তবে কিছু বিষয় মেনে চললে খুব সহজেই এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে আপনার মু্ক্তি মিলতে পারে।
আসুন জেনে নেই কীভাবে দূর করবেন মুখের দুর্গন্ধ।
খাওয়ার পর ব্রাশ করুন : খাবার খাওয়ার পর আমাদের দাঁতের ফাঁকায় খাবার আটকে থাকে, ফলে মুখে দুর্গন্ধ হয়। তাই যাদের মুখে দুর্গন্ধ বেশি হয় তারা খাবারে পরে ব্রাশ করতে পারে।ব্রাশ করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
বেকিং সোডা : একটি স্ট্রবেরীর পেস্ট এবং আধা চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। এবার এটি দাঁতে পাঁচ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তারপর দাঁত ব্রাশ করে ফেলুন। এটি সপ্তাহে এক থেকে দুইবার করুন।মুখের ভেতরে তৈরি হওয়া অ্যাসিডের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দুর্গন্ধ দূর তো করেই, সেই সঙ্গে মুখ গহ্বর পরিষ্কার হবে। দাঁত হবে ঝকঝকে সাদা।
খাবার সোডা : হাফ চামচ খাবার সোডা, পরিমাণমতো পানিতে মেশান। তারপর সেই মিশ্রণটি দিয়ে ভালো করে কুলকুচি করুন। এমনটা করলে দেখবেন বদ গন্ধ একেবারে চলে গেছে।
গ্রিন টি: মুখের খাবার জমে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। এই ব্যাকটেরিয়া মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। গ্রিন টি খাবার পরে পান করতে পারেন। যা মুখের ব্যাকটেরিয়া তৈরিতে বাধা দেয়।
তাজা ফল: ফাইবারসমৃদ্ধ ফল আপেল, পেয়ারা, গাজর ও আনারস। এই ফলগুলো দাঁতে আটকে থাকা খাদ্যকণা বের করে আনে। তাই এই ফল বেশি খেলে মুখের দুর্গন্ধ কম হয়।
দুধ: খাবার গ্রহণের আগে দুধ খেলে মুখের দুর্গন্ধ ভাব কম হয়। বিশেষ করে তেল-মসলা জাতীয় খাবার খাওয়ার আগে দুধ বেশি কার্যকরী।
ধনিয়া ও পুদিনা পাতা: দ্রুত মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে ধনিয়া পাতা, পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেলে সাময়িক দুর্গন্ধ দূর হয়।