দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিষয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকরা বলেন, সেনাবাহিনী ছাড়া এখন যেকোন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করা অসম্ভব। জনগণ মনে করে, আমি ভোট দিলে কি হবে। প্রার্থীতো আগেই ঠিক করা। এ দুটি সিটি নির্বাচনের দিকে সবাই তাকিয়ে রয়েছে। কেননা এর উপর নির্ভর করবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠ হবে কিনা। নির্বাচন কমিশনের হাতে সকল ক্ষমতা রয়েছে। তারা চাইলে নির্বাচন সুষ্ঠ ও সুন্দর হতে পারে।
সোমবার সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এমন মন্তব্য করেন।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন বলেন, যত ক্ষমতাই কমিশনকে দেওয়া হোক না কেন, সরকার সহায়তা না করলে ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়। আর বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো যেনতেনভাবে নির্বাচন পার করে দিতে চায় বলেই দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘কোনো পলিটিক্যাল পার্টি এ বিষয়টি কখনো সিরিয়াসলি নেয় নাই যে একটি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে তার প্রথম যে ভিত্তি, সেটা হচ্ছে ইলেকশন। আর ইলেকশন সিস্টেমটা অন্তত করাপ্ট না করা হয়। ইলেকশন কমিশনের সঙ্গে যদি সরকার কো-অপারেশন না করে, তাহলে নির্বাচন কমিশনে যুধিষ্ঠিরকে বসানো সম্ভব নয়।’
সুজন সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আসন্ন সিটি নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে সামনের জাতীয় নির্বাচন কেমন হবে।
আগামী ১৫ মে খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হাতে যথেষ্ট ক্ষমতা আছে উল্লেখ করে নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, কমিশনের সদিচ্ছা থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব।
সুজন সভাপতি বদিউল আলম মজুমদারের পরিচালনায় গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন সাবেক ব্রি.(অবঃ) সাখাওয়াত হোসেন, নগর পরিকল্পনাবিদ তোফায়েল আহমেদ, বাসদ সভাপতি খালেকুজ্জামান, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। গোলটেবিলে সভাপতিত্ব করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান।