ছোটখাটো অপরাধে যারা দীর্ঘদিন ধরে জেলে আছেন এবং হত্যা, ধর্ষণ ও অ্যাসিড মামলার আসামি নয় কিন্তু ইতিমধ্যে বহুদিন জেল খেটেছেন এমন কয়েদিদের কীভাবে মুক্তি দেয়া যায়, সে বিষয়ে একটি নীতিমালা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন বলে জানা গেছে। গণভবনে এই বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দীর্ঘদিনের বন্দি আসামিদের মুক্তি দিতে একটি প্রক্রিয়া ঠিক করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনার ভিত্তিতে আমরা কাজ করছি।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিষয়ে মন্ত্রিসভায় নতুন করে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে আক্রান্ত বেশি, সেখানে লকডাউন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে নতুন করে কোনো নির্দেশনা আসেনি।’
রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেডে) মাস্ক ও পিপিই বানায় এমন কারখানাগুলো খোলা থাকবে, বাকিগুলো বন্ধ থাকবে, এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৫ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩০ জন ও নারী ৫ জন। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।
সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন প্রেসব্রিফিংয়ে আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য জানান।
ফ্লোরা বলেন, ‘নতুন করে দেশে ৩৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১২৩ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ জন মারা গেছেন। দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ১২ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৩ জন।’
তিনি আরও বলেন, ‘নুতন শনাক্তের মধ্যে ৪১-৫০ বছরের কোঠায় ১১ জন এবং ২১-৩০ বছরের কোঠায় আছেন ৬ জন। সারাদেশ শনাক্ত ১২৩ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ঢাকা শহর ৬৪ জন। এছাড়া নারায়ণগঞ্জে ২৩ জন এবং এরপরে মাদারীপুরে করোনায় শনাক্তের সংখ্যা বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের ১২ জন শনাক্ত হয়েছে।’
ডা. সেব্রিনা বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগেই দুদক পরিচালকের করোনা শনাক্ত করা হয়। এরপর তার সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন তাদের কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়। বাকি দু’জন হাসপাতালে আনার পর মারা যান।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এরপর দিনে দিনে সংক্রমণ বেড়েছে।