1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৮ অপরাহ্ন

৭ মার্চের ভাষণ ঐতিহাসিক দলিল হয়ে উঠলো যেভাবে

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৭ মার্চ, ২০২১
  • ৭৭১ বার

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ কালের বিবেচনায় ঐতিহাসিক দলিল হয়ে উঠেছে। আন্তর্জাতিক গবেষণা থেকে শুরু করে ইউনেসকোর স্বীকৃতি। ভাষণের পরিপ্রেক্ষিত, এর শব্দ চয়ন বলে দেয় কেন এটা বিশেষ। কেন এই ভাষণ মানুষকে আজও উজ্জ্বীবিত করে।

১৯১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেসকো এই ঘোষণা দেয়। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি ইউনেসকোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড (এমওডব্লিউ) কর্মসূচির অধীনে আন্তর্জাতিক তালিকায় (ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার) মোট ৭৮টি দলিলকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এ তালিকায় ৪৮ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণটিকে স্থান দেওয়া হয়।

বিশ্ব ঐতিহ্য ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার আন্তর্জাতিক তালিকাই মূলত মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড। এর মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন অংশের ঘটনার সংরক্ষণ ও সবার কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে ইউনেসকো। এই তালিকায় ঠাঁই পেতে হলে পর্যাপ্ত গ্রহণযোগ্যতা ও ঐতিহাসিক প্রভাব থাকতে হয়।

বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর অন্যতম হিসেবে বিবেচিত এবং বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গ্রন্থে বিভিন্ন নিবন্ধে উদ্ধৃত হয়েছে। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষে ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে লেখা হয়েছে, এই ভাষণ উপনিবেশবাদ বর্ণবৈষম্যবাদ জাতি নিপীড়ন ইত্যাদি থেকে পৃথিবীর সর্বত্র জাতি জনগোষ্ঠীর আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এর নীতি গৃহীত ও স্বীকৃত জাতিসংঘের বিশ্ব মানবাধিকার ঘোষণাপত্র সঙ্গে সম্পূর্ণ সঙ্গতিপূর্ণ ছিল।

বাঙালির জাতীয় মুক্তির লক্ষ্যে তিনি দীর্ঘ গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক সংগ্রাম করে গেছেন এবং এক বিস্ফোরন্মুখ পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তিনি সবদিক বিবেচনায় রেখে অত্যন্ত ধীর স্থির দীপ্ত কণ্ঠে সেদিন ভাষণ দিয়েছিলেন। ইতিহাসবিদদের মতে, ইতিহাসে বিরল বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণ জাতিকে মানবতার মুক্তির সংগ্রামে যুগে যুগে দেশে দেশে মানব জাতিকে পথ দেখাবে।

১৯৯২ সালে মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড প্রোগ্রাম চালু করে ইউনেসকো। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দালিলিক ঐতিহ্য সংরক্ষণও ব্যবহারে সচেতনতার তাগিদে এটি চালু হয়। যুদ্ধ ও সামাজিক অস্থিরতা, সম্পদের অপ্রতুলতার কারণে দালিলিক ঐতিহ্য নিয়ে সমস্যা বেড়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন সংগ্রহশালা বিনষ্ট হয়েছে। সেই বিবেচনায় মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড প্রোগ্রাম অনন্য।

২০১৬-১৭ সালের মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড প্রোগ্রামের দলিল বাছাই করতে কমিটি বসে। চার দিনের এক সভায় বসেছিল ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি (আইএসি)। সেখানে ইউনেসকোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড প্রোগ্রামের পক্ষ থেকে মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল নিবন্ধনের জন্য ৭৮টি দলিলকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে নতুন করে প্রস্তাব করা ঐতিহাসিক দলিল পরীক্ষা ও মূল্যায়নের কাজ করেন।

এথেন্সের রাষ্ট্রনায়ক পেরিক্লিস থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান পর্যন্ত ২৫০০ বছরের বিশ্ব ইতিহাসে সবচেয়ে অধিক প্রভাব বিস্তারকারী ৪১ সামরিক-বেসামরিক বিখ্যাত ভাষণ নিয়ে ব্রিটিশ ঐতিহাসিক জেকব এফফিল্ডের লেখা উই শ্যাল ফাইট অন দ্য বিচেস: দ্য স্পিচ দ্যাট ইনস্পায়ার্ড হিস্টোরি প্রকাশিত হয় ২০১৩ সালে লন্ডন থেকে। আলেক্সান্ডার দ্য গ্রেট, জুলিয়াসসিজার, জর্জ ওয়াশিংটন, আব্রাহাম লিংকন, ভ্লাদিমির লেনিন এর ভাষণ এর উল্লেখ আছে সেখানে। এই বইতে নেপোলিয়নের মতো নেতা ছাড়াও আছে চার্চিল, মাও সে তুংয়ের বক্তৃতা। সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ অন্তর্ভুক্ত করা আছে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog