চলতি অর্থবছরের (২০১৬-১৭) প্রথম মাস জুলাইয়ে দাতা সংস্থার সহায়তার হার কমেছে। গত অর্থবছরের জুলাই মাসে দাতারা ১৪ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার ছাড় করেছিল। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৫৯ লাখ মার্কিন ডলারে। তবে জুলাইয়ে দাতাদের প্রতিশ্রুতির হার কিছুটা বেড়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ইআরডির হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে দাতারা এক হাজার ১৬৭ কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলার অর্থ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। গত অর্থবছরের একই মাসে এ প্রতিশ্রুতির পরিমাণ ছিল ৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার। কিন্তু প্রতিশ্রুতির পরিমাণ বাড়লেও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে অর্থছাড়ের পরিমাণ।
গত অর্থবছরের জুলাই মাসে দাতারা ১৪ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার ছাড় করেছিল। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৫৯ লাখ মার্কিন ডলারে। ছাড় করা অর্থের মধ্যে চলতি বছরের জুলাইয়ে ঋণের পরিমাণ ১২ কোটি ৪৪ লাখ ডলার এবং অনুদানের পরিমাণ ১৫ লাখ মার্কিন ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে ছাড় করা অর্থের মধ্যে ঋণ ছিল ১৩ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার এবং অনুদান প্রায় ৪১ লাখ মার্কিন ডলার।
এদিকে জুলাই মাসে মোট প্রতিশ্রুতির মধ্যে ঋণের পরিমাণ এক হাজার ১৬৬ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার। এরমধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ সংক্রান্ত চুক্তির আওতায় ঋণের পরিমাণই এক হাজার ১৩৮ কোটি মার্কিন ডলার। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ে প্রতিশ্রুতির মধ্যে কোনো ঋণ ছিল না।
চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে প্রতিশ্রুত অনুদানের পরিমাণ কমেছে। গত অর্থবছরের জুলাই মাসে প্রতিশ্রুত অনুদানের পরিমাণ ছিল ৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার, যা এ বছরের একই সময়ে কমে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ২১ লাখ মার্কিন ডলারে।
চলতি অর্থবছরে জুলাই মাসে সরকার ঋণ পরিশোধ করেছে ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এরমধ্যে আসলের পরিমাণ ৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার। আর সুদের পরিমাণ এক কোটি ৫০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে সরকার ঋণ পরিশোধ করেছিল ৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার। এরমধ্যে আসলের পরিমাণ ৬ কোটি ৫৫ লাখ ডলার এবং সুদের পরিমাণ এক কোটি ৮২ লাখ ডলার।
উলেখ্য, চলতি বছরের জুলাই মাসে বিভিন্ন প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংকের ছাড় করা অর্থের পরিমাণ দুই কোটি মার্কিন ডলার।