প্রতিবেদক : সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে কারও সঙ্গে কোনো আপস না করার অঙ্গীকার করেছেন নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। বুধবার শপথ নেওয়ার পর কর্মস্থল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
দুপুরে প্রধান বিচারপতির কাছ থেকে শপথ নেওয়ার পর বিকালে সহকর্মীদের নিয়ে আগারগাঁওয়ে নতুন নির্বাচন ভবনে যান নূরুল হুদা। সিইসির কক্ষে তাদের অভ্যর্থনা জানান ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
এরপর সবাইকে নিয়ে সিইসি হিসেবে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে আসেন নূরুল হুদা।
নতুন সিইসি বলেন, “আমরা সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে শপথ গ্রহণ করেছি। সংবিধান ও সংবিধানের অধীনে প্রণীত আইনকানুন বিধিবিধানের ভিত্তিতে দায়িত্বপালনে অটল এবং আপসহীন থাকব।”
নির্বাচন কমিশনের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা নিয়ে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দক্ষতা ব্যবহার করে কাজ করবেন জানিয়ে তাতে সরকার, সব রাজনীতিক দল ও গণমাধ্যমের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন নূরুল হুদা।
তিনি বলেন, ১৯৭২ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রায় ৪৫ বছর ধরে ধাপে ধাপে নির্বাচন কমিশন প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সরকারের একজন সচিবের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনে রয়েছে একটি সুসংগঠিত প্রশাসনিক কাঠামো ও সুদক্ষ জনবল।
“অভিজ্ঞ এবং নিষ্ঠাবান নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে নিয়ে দায়িত্বপালনে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ,” বলেন তিনি।
এই নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় একাদশ সংসদ নির্বাচন হবে। দশম সংসদ নির্বাচন অধিকাংশ রাজনৈতিক দল বর্জন করায় আগামী নির্বাচনে সব দলকে আনাই এই ইসির প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত।
কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন ইসিকে ‘সরকারের আজ্ঞাবহ’ বলে আসা বিএনপি নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন নতুন ইসিকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান না করলেও নানা প্রশ্ন তুলেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে নতুন ইসিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। অন্যদিকে বিএনপি নতুন সিইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।