1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন

হাঁপানির নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতেই

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২ মে, ২০১৭
  • ৩২৯ বার

বিডি জার্নাল ডেস্ক: বিশ্বে ২০ কোটি মানুষের হাঁপানি রোগ আছে। এর মধ্যে শিশুদের সংখ্যাই বেশি। বাংলাদেশেও ৭০ লাখের বেশি মানুষ হাঁপানিতে আক্রান্ত। তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশেরই বয়স ১৫ বছরের নিচে।

হাঁপানি হলো অতি সংবেদনশীলতার জন্য শ্বাসনালির শাখা-প্রশাখার সাময়িক সংকোচন। ফলে শ্বাসনালি সংকুচিত হয়ে পড়ে, তখন শ্বাস নিতে ও ছাড়তে কষ্ট হয়। হাঁপানির সঠিক কারণ অজানা। তবে বংশগত ও পরিবেশগত কিছু কারণকে দায়ী করা যায়। নিকটাত্মীয় কারও হাঁপানি বা অ্যালার্জির ইতিহাস থাকলে এই অসুখের ঝুঁকি বেশি। আপনার সন্তানের হাঁপানি আছে কি না, কীভাবে বুঝবেন? কিছু লক্ষণ খেয়াল করুন:

* রাতে, বিশেষত শেষ রাতের দিকে শুষ্ক কাশি হচ্ছে

* রাতে ঘুমের মধ্যে নাকে বা বুকে শোঁ শোঁ শব্দ হচ্ছে

* বুকে চাপ ধরে থাকে বা শ্বাসপ্রশ্বাস ছোট হয়ে আসছে বলে মনে হয়

*এ সমস্যা ধুলাবালি, ঠান্ডা আবহাওয়া, ঠান্ডা পানি, কার্পেটের ধুলা, পশুপাখির লোমের সংস্পর্শে বেড়ে যায়

* মাঝেমধ্যে আবার একেবারেই রোগমুক্ত থাকে

বাড়িতে কারও হাঁপানির সমস্যা থাকলে তার বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে, বিশেষত যদি সে শিশু হয়। পশুপাখি থেকে দূরে থাকাই ভালো। আক্রান্ত রোগীর সামনে ধুলা ঝাড়া, ধুলা ওড়ানো ঠিক নয়। ঝাঁজালো গন্ধ, যেমন: অ্যারোসল স্প্রে, পারফিউম বা মসলা ভাজার গন্ধও নাকে না যাওয়াই উত্তম।

বাইরের ধুলা, ধোঁয়া, কুয়াশা থেকে সাবধান। যাঁরা নন–এসি গাড়ি বা বাইক চালান, তাঁরা অবশ্যই নাকমুখ ঢাকার পোশাক বা মাস্ক পরবেন। সিগারেটের ধোঁয়া হাঁপানির কষ্টকে অনেক বাড়িয়ে দেয়। এমনকি পরোক্ষ ধূমপানও। টেনশন, মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা ও ভয়ও সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। হালকা স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত হোন; বেশি রাত করে, তাড়াহুড়া করে বা বেশি পেট পুরে মসলাদার খাবার খাবেন না। হালকা ব্যায়াম ভালো, কিন্তু অতিরিক্ত ব্যায়াম সমস্যা করতে পারে। ফ্রিজ থেকে বের করেই ঠান্ডা পানি বা পানীয় পান করবেন না, তাপমাত্রা সহনীয় হয়ে আসার জন্য অপেক্ষা করুন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্রের ঠান্ডা হাওয়া সরাসরি গায়ে না লাগানোই ভালো।

শৈশব থেকে শুরু হওয়া মৃদু ধরনের হাঁপানি পরে ভালো হয়ে যেতে পারে, আবার কখনো না–ও সারতে পারে। তাই নিজের জীবনাচরণ নিজেই ঠিক করে নেওয়া ভালো। হাঁপানি হয়তো সেরে যাবে না, কিন্তু এর সঙ্গে আপনি অভ্যস্ত হয়ে উঠবেন। শিশুদেরও হাঁপানির হঠাৎ আক্রমণ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলার উপায় শিখে নিতে হবে। এ কারণেই এ বছর ২ মে বিশ্ব হাঁপানি দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘হাঁপানির নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতে’।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog