মুসলিম উম্মাহর মহাসম্মেলন পবিত্র হজ আজ। সোমবার ভোর থেকে লাখ লাখ হাজি মিনা হতে আরাফাহ অভিমুখে চলেছেন। অনেকে রবিবার থেকেই আরাফায় এসে অবস্থান নিয়েছেন।
দুপুরের আগেই কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে এ ময়দান, ৩০ লাখের হাজির ধ্বনিতে এক সাথে উচ্চারিত হচ্ছে লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নিয়মাতা লাকা ওয়াল মুলক। চারপাশ মুখরিত হচ্ছে আরাফা প্রান্তর। হাজিগণ এখানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করবেন।
মুসলিম উম্মাহর এ মহাসম্মেলনে আজ ঐতিহাসিক আরাফা প্রান্তরের মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা প্রদান করবেন নতুন খতিব শায়খ ড. হুসাইন আল-শায়খ।
তিনি মদিনা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপত, মসজিদে নববির ইমাম ও খতিব। মহানবী সা. যে স্থানে দাঁড়িয়ে ঐতিহাসিক বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন, ঠিক সেই স্থানেই নির্মিত হয়েছে মসজিদে নামিরা। আর এ মসজিদে নামিরা থেকেই হজের খুতবা প্রদান করা হবে।
এ বছর বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১২২টি দেশের মানুষ হজ পালন করতে সৌদি আরব গেছেন। তবে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জন হজ পালনের কথা থাকলেও নানা জটিলতায় ৬০৬ জন যেতে পারেননি।
এরই মধ্যে হজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। মক্কা, মিনা, মুজদালিফা ও আরাফাতের ময়দানে হাজিদের সব ধরনের সহযোগিতা ও নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে সৌদি প্রশাসন।
নারী নিরাপত্তাকর্মীরা হাজিদের নিরাপত্তার পাশাপাশি পবিত্র কোরআন বিতরণ ও হাজিদের হজের নিয়ম-কানুন শিখিয়ে দিচ্ছেন। হজ চলাকালীন হাজিদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক চিকিৎসক দল কাজ করছে। পাশাপাশি হাজিদের দ্রুত সেবা দিতে কাজ করবে ৩৬১টি অ্যাম্বুলেন্স।
সূর্যাস্তের সময় আরাফাহ ত্যাগের আগে দুনিয়া ও আখিরাতের সমস্ত কল্যাণ, রহমত প্রাপ্তি ও স্বীয় গুনাহ মাফের জন্য আল্লাহ তা’আলার কাছে অশ্রুসিক্ত ফরিয়াদ জানাবেন সমবেত হাজিগণ। বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের এক অনুপম দৃশ্যের অবতারণা আরাফাতের ময়দানে।