ঢাকা: ঈদ পরবর্তী প্রথম কার্যদিবসেই পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে। পাশাপাশি কমেছে লেনদেন, সূচক ও বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। তবে ঈদের আগের শেষ তিন কার্যদিবস সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়।
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (১০ জুলাই) সূচকের নিন্মমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়। এক পর্যায়ে সূচক ৬৫ পয়েন্টের বেশি কমে যায়। তবে শেষ দিকে সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা কমলেও দিনশেষে তা নিম্নমুখীই থাকে।
লেনদেন শেষে ঢাকার বাজারে সূচক কমেছে ১২ পয়েন্ট, চট্টগ্রামের বাজারে কমেছে ৪ পয়েন্ট।
এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে ৩১৩টি সিকিউরিটিজের ৭ কোটি ৫৯ লাখ ৭টি শেয়ারের হাতবদল হয়েছে। যা টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ ২০৯ কোটি ৫৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা।
আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিলো ৩৭৭ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা।
এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১২.৩৯ পয়েন্টে কমে ৪ হাজার ৪৫৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইএস সূচক আগের দিনের চেয়ে ৬.৩০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১০৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের চেয়ে ১১.২৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৫৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১৩ সিকিউরিটিজের মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৩টির, কমেছে ২০৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির দাম।
দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসইএক্স ৩.৮২ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ৩৯২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৪১ কোটি ৩১ লাখ টাকার।
লেনদেন হওয়া ২৩১টি সিকিউরিটিজের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৯টির, কমেছে ১৩৯টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩টির।
এদিকে ঈদ পরবর্তী প্রথম কার্যদিবসে ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি কিছুটা কম ছিল।