1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪২ পূর্বাহ্ন

ফের লকডাউনের চিন্তা, হতাশার সুর শেয়ারবাজারে

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৯ এপ্রিল, ২০২১
  • ২৭৯ বার

প্রথম ধাপের করোনায় ভালো পারফরমেন্স দেখানো শেয়ারবাজার দ্বিতীয় ধাপের করোনায় বেশ মার খাচ্ছে। অনেক চেষ্টা করেও বাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। এরইমধ্যে প্রথম দফায় লকডাউন বাস্তবায়ন সেভাবে না হলেও ঘোষণার কারণেই বাজার পতনের ধারা অব্যাহত আছে। এমন পরিস্থিতিতে ফের কঠোর লকডাউনের কথা ভাবছে সরকার। এতে পতনের ধারা থেকে শেয়ারবাজার বের হতে পারবে কি না তা নিয়ে সংশয় থেকেই গেলো।

অবশ্য দরপতন হলেও গত সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন সাড়ে পাঁচশ কোটি টাকা বেড়েছে। তার আগের তিন সপ্তাহের পতনে ২৪ হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন হারায় ডিএসই। অনেকেই বলছেন, দ্বিতীয় দফার লকডাউনে বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি নিতে চাইবে না।

ডিএসই’র তথ্য বলছে, সপ্তাহের শেষদিন বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) দরপতন হয়েছে। এদিন ডিএসই’র মূল্যসূচক ৮২ পয়েন্ট কমেছে। বুধবার ৬৬টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন মূল্যস্তর) তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বৃহস্পতিবার থেকে তা কার্যকর হয়েছে। এটি বাজারে আতঙ্ক তৈরি করেছে।

এদিকে বাজারের এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউনের কথা চিন্তা করছে সরকার। দুই সপ্তাহের জন্য ফুল লকডাউন তথা আরও কঠোর হওয়ার সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। ফলে আগামী সপ্তাহের বাজার কেমন যাবে, তা কেউ বলতে পারছে না।

তবে পতনে বিচলিত না হওয়ার পরামর্শ দেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ। তিনি বলেন, লকডাউনের মধ্যে টানা তিন দিন সূচকের উত্থান হয়েছে। এখন এক-দুই দিন তো কমবেই।

সূত্রমতে, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে ও পুঁজিবাজারের উন্নয়নে প্রাথমিকভাবে ৬৬টি কোম্পানি থেকে ফ্লোর প্রাইসের নির্দেশনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। যা গতবছরের ১৯ মার্চ করোনা মহামারির কবলে পতনরোধে দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে ৪৪টি কোম্পানি সিকিউরিটিজ ফ্লোর প্রাইসে আটকে আছে। যা সহসাই তোলা হবে না বলে জানা গেছে। তবে বিএসইসি সূত্র বলছে, নতুন করে আর কোনও কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা তাদের নেই। ফলে বাজার নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই।

এদিকে বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গেল সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবস শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী ছিল। কিন্তু লকডাউন আতঙ্কে রবিবার বড় পতন হয়। আর ৬৬ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ায় বৃহস্পতিবারও বড় দরপতন হয়।

বৃহস্পতিবার কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর মূলধন কমেছে ৫৫৯ কোটি টাকা। আগের তিন সপ্তাহে কমেছে ২৪ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা।

এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৫ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহে সূচক কমেছিল ৫৬ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট। তার আগে কমেছিল ১০৭ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট। তার আগের সপ্তাহে কমেছিল ১৩৪ দশমিক ১৬ পয়েন্ট। অর্থাৎ চার সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ৩১৪ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট।

প্রধান মূল্যসূচকের পতন হলেও গত সপ্তাহে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক কিছুটা বেড়েছে। আগের তিন সপ্তাহে সূচকটির টানা পতন হয়। গত সপ্তাহজুড়ে সূচকটি বেড়েছে ৭ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহে কমেছিল ৩৭ দশমিক ৬০ পয়েন্ট ও তার আগের সপ্তাহে কমে ৫২ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট।

এদিকে ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ সূচকের টানা চার সপ্তাহ পতন হয়েছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহজুড়ে সূচকটি কমেছে ৪ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহে ১৫ দশমিক ১৫ পয়েন্ট ও তার আগের সপ্তাহে কমেছে ২৯ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট।

প্রধান মূল্যসূচকের পতনের পাশাপাশি গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে দাম বেড়েছে ১০৮টি প্রতিষ্ঠানের। বিপরীতে কমেছে ২০৫টির। ৫৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

তথ্য বলছে, সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৬৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৫০৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৪২ কোটি ২৮ লাখ টাকা।

অবশ্য গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৩২৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকার। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ২ হাজার ২৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সেই হিসেবে মোট লেনদেন বেড়েছে ২৯৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা। গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে এক কার্যদিবস কম লেনদেন হওয়াটাই এর কারণ।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog