ঢাকা: ঐতিহ্যের অন্যতম ধারক পোশাক-আশাক। পরিধেয় বস্ত্র, কাপড়ের বুনন, নকশা, ঘনত্ব সবই নির্ভর করে ভৌগলিক অবস্থান, সেখানকার আবহাওয়া ও সংস্কৃতির ওপর। বিভিন্ন মহাদেশের ঐতিহ্যবাহী কাপড় সেসব অঞ্চল ছাড়িয়েও বর্তমানে স্থান করে নিয়েছে বিশ্বফ্যাশনে।
এশিয়া
এশিয়া মহাদেশের অন্যতম ঐতিহ্য তাঁত। সুতি, জামদানি, সিল্ক এশিয়ার নিজস্ব সম্পদ। বাংলাদেশ ভারত, চীন ও থাইল্যান্ড এসব কাপড় বহুদিন ধরে উৎপাদন করে আসছে। যদি আলাদা করে আমাদের দেশের কথা বলতে হয়, তাহলে সবার আগে উঠে আসে নকশিকাঁথার নকশা। শুরুতে নকশি কাঁথা ছিলো কেবল প্রয়োজন মাত্র। অথচ আজ বিশ্ব দরবারে নকশিকাঁথার বিশেষ কদর রয়েছে। বুটিক হাউজগুলো ঘুরে দেখলেই বোঝা যায়- শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া ও আধুনিক জামাকাপড়ে নকশিকাঁথার ডিজাইনের আধিপত্য কতখানি।
আমেরিকা
আমেরিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোর কাপড়ে আধুনিক মোড়কে ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা রয়েছে। কাউবয় ড্রেস, ফেন্সি ড্রেস, স্কার্ট, ঢিলেঢালা টপস, টি-শার্ট, জ্যাকেট ও জার্সি এ অঞ্চল ছাড়াও বিশ্বমানের ফ্যাশনে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রয়েছে।
ইউরোপ
ইউরোপ হচ্ছে ফ্যাশন ধারণার ঊর্ধ্বমুখী ফোয়ারা। বিশ্বমানের ইউরোপিয়ান শ্যানেল, বারবেরি ও অারমানির মতো ফ্যাশন হাউজগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত করিয়ে দিচ্ছে বিশ্ববাসীকে। চেক ফ্যাশনে জনপ্রিয়তা এনেছে ইউরোপিয়ান গ্লেক প্লেইড ও প্রিন্স অব ওয়েলস নামের ভিন্নমাত্রার চেক কাপড়।
আফ্রিকা
কাপড়ে স্থানীয় ঐতিহ্যের ব্যবহারে শীর্ষে রয়েছে এ মহাদেশটি। কাপড়ে তাদের নিজস্বতা ছড়িয়েছে উজ্জ্বল রং ব্যবহারে। অাজ গাউন, টপস, লেগিঙসে এনিমেল প্রিন্ট বর্তমানে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। যা মূলত এসেছে আফ্রিকা থেকে।